একাত্তর নিয়ে মোদির বিতর্কিত বক্তব্য, তীব্র প্রতিবাদ জানালেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:১২ PM , আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:১২ PM
আজ ১৬ ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস। বাঙালির চিরদিনের গৌরব, অসম সাহস, বীরত্ব ও আত্মদানে মহিমান্বিত অর্জনের দিন। ১৯৭১ সালের আজকের এই দিনে রক্তক্ষয়ী মরণপণ যুদ্ধের শেষে পাকিস্তানি বাহিনীকে পরাজিত করে বিজয় ছিনিয়ে এনেছিল বীর বাঙালি। জন্ম হয়েছিল স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের। তবে বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে এক বার্তায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেদ্র মোদি একাত্তরকে ‘ভারতের ঐতিহাসিক বিজয়’ বলেছেন। তার বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এই বার্তা দিয়ে পোস্ট করেন নরেদ্র মোদি। তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে তিনি শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তার ওই পোস্টে নেই বাংলাদেশের নামও।
নরেদ্র মোদি তার বার্তায় লিখেছেন, ‘আজ বিজয় দিবস, আমরা ১৯৭১ সালে ভারতের ঐতিহাসিক বিজয়ে অবদান রাখা বীর সেনাদের সাহস ও আত্মত্যাগকে সম্মান জানাই।’
একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধকে ভারতের অর্জন হিসেবে দাবি করেন মোদি। পাশাপাশি ওই অর্জনে ভারতের সেনাবাহিনীর অবদানকে স্মরণ করে তিনি আরও লিখেছেন, ‘তাদের নিঃস্বার্থ উৎসর্গ এবং অটল সংকল্প আমাদের জাতিকে রক্ষা করেছে এবং আমাদের গৌরব এনে দিয়েছে। এই দিনটি তাদের অসাধারণ বীরত্ব এবং তাদের অদম্য চেতনার প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি। তাদের আত্মত্যাগ চিরকাল প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে এবং আমাদের জাতির ইতিহাসে গভীরভাবে গেঁথে থাকবে।’
নরেদ্র মোদির ফেসবুক পোস্ট নিয়ে ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা। নরেদ্র মোদির পোস্টের স্ক্রিনশট ফেসবুকে শেয়ার করে তার কড়া সমালোচনা করে হাসনাত আব্দুল্লাহ লিখেছেন, ‘একাত্তর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য এই যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল। কিন্তু মোদি দাবি করেছেন, এটি শুধু ভারতের যুদ্ধ এবং তাদের অর্জন। তাদের বক্তব্যে বাংলাদেশের অস্তিত্বই উপেক্ষিত।’
মোদির বক্তব্যকে বাংলাদেশের জন্য হুমকি হিসেবে উল্লেখ করে হাসনাত আব্দুল্লাহ লিখেছেন, ‘আমি একে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, এবং অখণ্ডতার প্রতি সরাসরি হুমকি হিসেবে দেখি। ভারতের এই হুমকির বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চালিয়ে যাওয়া অবশ্যম্ভাবী। এই লড়াই আমাদের চালিয়ে যেতেই হবে।’