বগুড়া
শাজাহানপুরে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৩১ PM , আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:১১ PM
বগুড়ার শাজাহানপুরে শ্বশুরবাড়ি থেকে মনজেলা খাতুন (২০) নামে তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত মনজেলা কামারপাড়া পূর্বপাড়া গ্রামের তুহিন বাবুর স্ত্রী। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী পলাতক রয়েছেন। মনজেলার পরিবারের দাবি, তাকে হত্যার পর তার লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলার চোপিনগর ইউনিয়নের কামারপাড়া পূর্বপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মনজেলার লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শাজাহানপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবু সাইদ।
নিহতের বাবা রজিবুল প্রামাণিক বলেন, ‘বিকেল ৫টার দিকে মনজেলার শ্বশুরবাড়ির লোকজনের দেওয়া খবরে জানতে পারি আমার মেয়ে অসুস্থ হয়েছে। দ্রুত সেখানে গিয়ে দেখতে পাই আমার অন্তঃসত্ত্বা মেয়ের লাশ পড়ে আছে। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মনজেলাকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে বলে ধারণা করছি। মেয়ের গলায় থাকা চেইন এবং কানে থাকা দুল দেখতে পাইনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘মনজেলা ও তুহিন একই সঙ্গে একই স্কুলে লেখাপড়া করা অবস্থায় সম্পর্ক করে। পরে উভয় পরিবারের সম্মতিতে মেয়েকে দুই বছর আগে বিয়ে দিই। ওদের মধ্যে ঝগড়া হয়েছে এমনটা শুনি নাই। এক মাস আগে জামাইকে মোটরসাইকেল কিনে দিয়েছিলাম।’
এ বিষয়ে মনজেলার শাশুড়ি মমতাজ খাতুন বলেন, 'আমি অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম। শনিবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে সেখান থেকে বাড়িতে আসি। এরপর ঘরে ঢুকে দেখি মনজেলা ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলছে। আমি চিৎকার দিলে বাড়ির লোকজন এসে তাকে নামিয়ে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হয়। কিন্তু বাজারের পল্লি চিকিৎসক মনজেলাকে দেখে মৃত বলে জানিয়ে দিলে লাশ নিয়ে বাড়িতে ফিরে আসি।’
তিনি আরও বলেন, ‘মনজেলা তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা এবং কাশি রোগে আক্রান্ত ছিল। এ কারণে মনজেলা আত্মহত্যা করে থাকতে পারে। তুহিন এখন কোথায় আছে তা বলতে পারছি না।’
এ বিষয়ে এসআই আবু সাইদ বলেন, 'অন্তঃসত্ত্বা মনজেলা আত্মহত্যা করেছেন। লাশের শরীরে কোথাও আঘাতের চিহ্ন পাই নাই। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। প্রতিবেদন এলে বিস্তারিত জানা যাবে।'
তবে চোপিনগর ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা সদস্য সালমা খাতুন বলেন, 'পুলিশ লাশের সুরতহাল করার সময় আমি উপস্থিত ছিলাম। লাশের শরীরে পাঁজরের দুই পাশে জখমের চিহ্ন দেখেছিলাম। নারী পুলিশ সদস্যসহ উপস্থিত নারীরা এটা দেখেছেন। পুলিশ সেটার ছবিও তুলে নিয়ে গেছে।'