সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যায় তীব্র নিন্দা উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:২২ PM , আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৩ PM
পঞ্চগড় সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নাগরিক আনোয়ার হোসেন নিহতের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেছেন, ‘এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে, বিএসএফ বারবার নিরস্ত্র বাংলাদেশি বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করছে। এটি আন্তর্জাতিক কনভেনশন এবং সীমান্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থার নীতিগুলোর স্পষ্ট লঙ্ঘন।’
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক্সে দেওয়া এক পোস্টে এসব কথা বলেন তিনি ।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পরিসংখ্যান তুলে ধরে নাহিদ ইসলাম বলেন, '২০০৯ সাল থেকে ২০২০ সালের পর্যন্ত ৫২২ জন বাংলাদেশি বিএসএফের হাতে নিহত হয়েছেন। যার মধ্যে ৩২৪ জনকে গুলি করে এবং অন্যদের নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যা করা হয়েছে।'
উপদেষ্টা আরও বলেন, 'আশ্চর্যজনকভাবে এই হত্যাকাণ্ডগুলো অবিচ্ছিন্নভাবে অব্যাহত রয়েছে। ২০২৩ সালে ৩৪টি, ২০২২ সালে ২৩টি এবং ২০২১ সালে ১৮টি হত্যাকাণ্ড রেকর্ড করা হয়েছে। এই মৃত্যুগুলোর সপক্ষে প্রায়শই চোরাচালান প্রতিরোধ বা আত্মরক্ষার মতো অসার যুক্তি উপস্থাপন করা হয়, যা ২০১৮ সালের চুক্তির সরাসরি লঙ্ঘন। এই চুক্তিতে ভারত ও বাংলাদেশ সীমান্ত ব্যবস্থাপনায় প্রাণঘাতী শক্তি ব্যবহার না করার অঙ্গীকার করেছিল।'
এই চরম বাস্তবতা দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বের দাবিকে ক্ষুণ্ন করে উল্লেখ করে নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, 'শুধুমাত্র গত এক দশকে সীমান্তে ৩০০ জনেরও বেশি মানুষের প্রাণ গেছে। এটি স্থায়ী শত্রুতার একটি মারাত্মক প্রমাণ। ভারত সরকারকে জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে যেন, তার সীমান্ত বাহিনী আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন মেনে চলে।'
উল্লেখ্য, শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধীন পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের মোমিনপাড়া ও ভারতের শিংপাড়া সীমান্তের মেইন পিলার ৭৫১-এর ৮ ও ৯নং সাব পিলারের মাঝামাঝি এলাকায় বিএসএফের গুলিতে নিহত হন আনোয়ার হোসেন।