পিরোজপুরের কাশ্মীর যেন এক বিচ্ছিন্ন দ্বীপ
- পিরোজপুর প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:১৯ AM , আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:১৯ AM
পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার কলারদোয়ানিয়া ইউনিয়নের একটি গ্রামের নাম কাশ্মীর। সর্পিলাকার বেলুয়া নদীর স্রোত দ্বারা কাশ্মীরকে নাজিরপুরের মূল ভূখণ্ড থেকে পৃথক করেছে। ঐতিহ্যবাহী বৈঠাকাঁটা ভাসমান হাটের লঞ্চঘাট থেকে কাশ্মীর কে মনে হয় যেন এক বিচ্ছিন্ন দ্বীপ। গ্রামটির চারপাশে নদী ও খাল দ্বারা বেষ্টিত।
পিরোজপুরের নাজিরপুর, নেছারাবাদ উপজেলা এবং বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার সংযোগস্থলে গ্রামটির অবস্থান। মটিতে প্রায় তিন হাজার মানুষের বসবাস। তাদের যোগাযোগের একমাত্র অবলম্বন নৌপথ। গ্রামে কোনো বাজার না থাকায় নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের জন্য তাদের নৌপথে পাড়ি জমাতে হয় বৈঠাকাঁটা বাজারে। শিশুদের লেখাপড়া করার জন্য গ্রামটিতে দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে কিন্তু কোনো মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং কলেজ নেই।
লেখাপড়ার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন নদী পাড়ি দিয়ে পার্শ্ববর্তী গ্রামের মুগারঝোর মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং বৈঠাকাঁটা কলেজে যেতে হয়।
বছরের অধিকাংশ সময় নদীতে নৌ চলাচল স্বাভাবিক থাকে। কিন্তু নভেম্বর হতে জানুয়ারি এই তিন মাস নদীতে কচুরিপানার আধিপত্য থাকে। বেলুয়া নদীর তীরবর্তী বিলা অঞ্চলের কচুরিপানা নেমে আসে নদীতে। নদীর দুই তীরের মানুষ গুলো অসহায় দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে জোয়ারের জন্য। কাশ্মীরের জনজীবন হয়ে পড়ে চরম বিপন্ন।
বৈঠাকাঁটা কলেজের শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান বলেন, সারা বছর খেয়া পাড়ি দিয়ে কলেজে যাই। কিন্তু নভেম্বর হতে জানুয়ারি এই তিন মাস সঠিক সময়ে বিদ্যালয়ে যেতে পারি না।
মুগারঝোর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মেহেদী হাসান বলেন, নভেম্বর -ডিসেম্বরে নদীতে কচুরিপানা থাকায় কাশ্মীর থেকে আসা শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম থাকে। বেলুয়া নদীর ওপর একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হলে এ অঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগ কমবে।