সেন্টমার্টিন ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে কাফন পরে সড়ক অবরোধ
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২০ নভেম্বর ২০২৪, ১০:২২ AM , আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০২৪, ১১:২৯ AM
সেন্টমার্টিনে ‘পর্যটক সীমিতকরণ ও রাত্রিযাপন নিষিদ্ধসহ বিধি-নিষেধ প্রত্যাহারের’ দাবিতে কক্সবাজারে সড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
মঙ্গলবার কক্সবাজার শহরের প্রবেশমুখ কলাতলীর ডলফিন মোড়ে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। আন্দোলনকারীরা কাফনের কাপড় পরে সড়কে শুয়ে পড়েন এবং তাদের দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে কক্সবাজারের পর্যটন সংশ্লিষ্টরা একাত্মতা প্রকাশ করেন। কক্সবাজার সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা নীলুফা ইয়াসমিন চৌধুরী ও কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জসীম উদ্দিন চৌধুরীসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা সেখানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের দফায় দফায় চেষ্টা করেন।
প্রশাসনের সাথে আলোচনা শেষে বিকেল ৪টার দিকে আন্দোলনকারীরা কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেন। তবে, কলাতলী মোড়ে অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে সড়ক অবরোধের কারণে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়, যার ফলে শত শত যানবাহন আটকে পড়ে এবং পর্যটক ও স্থানীয়রা দুর্ভোগে পড়েন।
দ্বীপের বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেন, অতীতে কোনো সরকার দ্বীপের বিষয়ে এমন কঠোর পদক্ষেপ নেয়নি, কিন্তু বর্তমান সরকার পরিবেশ রক্ষার নামে পর্যটন শিল্পকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাচ্ছে। তারা দাবি করেন, সরকারের এমন সিদ্ধান্ত থেকে সরে না এলে দ্বীপের মানুষ রাস্তা ছাড়বেন না।
কর্মসূচিতে সেন্টমার্টিন দ্বীপের বাসিন্দাদের পাশাপাশি হোটেল-মোটেল, রেস্তোরাঁ, এবং ট্যুর অপারেটর এসোসিয়েশনসহ পর্যটন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সহস্রাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী অংশগ্রহণ করেন। বক্তারা জানান, সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটক শূন্যতার কারণে দ্বীপের বাসিন্দারা অভাব-অনটনের মধ্যে দিনযাপন করছেন। একইসাথে, নভেম্বর মাসে পর্যটন মৌসুম শুরু হলেও সরকারি বিধি-নিষেধের কারণে সেন্টমার্টিনগামী পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হয়নি, যা দ্বীপের পর্যটন শিল্পে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করেছে।
প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের ফলে দ্বীপের ৩.৫ লক্ষাধিক মানুষের জীবন-জীবিকা সংকটাপন্ন হয়ে পড়েছে। বক্তারা পরিবেশ রক্ষা করার পাশাপাশি, পর্যটন শিল্প বাঁচাতে সংশ্লিষ্ট সকল মহলের সমন্বয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে সেন্টমার্টিনের বাসিন্দা আব্দুল মালেকের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, সেন্টমার্টিনের বাসিন্দা ও পর্যটন ব্যবসায়ী মাওলানা আব্দুর রহমান খান, মোহাম্মদ আলম, সরওয়ার কামাল, এবং ট্যুর অপারেটর এসোসিয়েশন অব কক্সবাজার (টুয়াক) সভাপতি রেজাউল করিমসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।