ডা. ফরহাদ হালিম ডোনারের মুক্তি দাবি সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের

ডা. ফরহাদ হালিম ডোনারের মুক্তি দাবি সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের
ডা. ফরহাদ হালিম ডোনারের মুক্তি দাবি সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের  © সংগৃহীত

দেশের বিশিষ্ট ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, বাংলাদেশ ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাকালীন পরিচালক ও জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক প্রফেসর ডা. ফরহাদ হালিম ডোনারের মুক্তি দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ।

রোববার (২৮ জুলাই) সংগঠনটির আহ্বায়ক প্রফেসর ডা: এজেডএম জাহিদ হোসেন ও সদস্য সচিব সাংবাদিক কাদের গনি চৌধুরী এক বিবৃতিতে তার মুক্তি দাবি করেন। এর আগে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ধানমন্ডি থেকে ডিবি পুলিশ তাকে তুলে নিয়ে যায়। বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ ডোনার এ সময় চিকিৎসা নিতে একজন চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলেন।

বিবৃতিতে পেশাজীবীদের শীর্ষ এই দুই নেতা বলেন, স্রেফ ভিন্নমত পোষণের কারণেই জাতির এই কৃতি সন্তানকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার কিডনি সংক্রমণ, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপসহ বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, তিনি কিছুদিন ধরে চিকিৎসকদের গভীর পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। এমতাবস্থায় তার কিছু হলে এর সকল দায় সরকারকেই বহন করতে হবে।

বিবৃতিতে পেশাজীবী নেতৃদ্বয় বলেন, এভাবে পেশাজীবীদের বিনা অভিযোগে এবং বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতার করে তাদের বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা দেয়ার মাধ্যমে সমাজে একটি ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করা হচ্ছে। বিশেষ করে পেশাজীবীরা অত্যন্ত আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে অন্তত ১০জন পেশাজীবীকে বিনা কারণে গ্রেফতার করা হয়েছে। দ্য মিররের ঢাকা প্রতিনিধি ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ খানকে গ্রেফতার করে মেট্রোরেল পোড়ানোর মামলা দেয়া হয়েছে। যা শুধু বানোয়াটই নয় হাস্যকরও বটে। সাংবাদিকদের এ নেতাকে ৫ দিনের রিমান্ডে নেয়ার মতো ধৃষ্টতাও দেখোনো হয়েছে। মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-অ্যামটাবের সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব দবির উদ্দিন তুষারকে গত বৃহস্পতিবার সকালে তার মিরপুরের বাসা থেকে তুলে নেয়ার পর এখনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। তার স্ত্রী ও শিশু সন্তানরা চার দিন ধরে তুষারের খোঁজে পুলিশের দ্বারেদ্বারে ঘুরে বেড়ালেও কেউ খোঁজ দিচ্ছেন না। এমতাবস্থায় তার পরিবারে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।

ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ডিঅ্যাবের মহাসচিব কাজী সাখাওয়াত হোসেনকে গ্রেফতারের পর অমানুষিক নির্যাতন চালানো হয়। যা একটা সভ্য সমাজে কল্পনাও করা যায় না।

বিবৃতিতে দেশে একটা শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে উল্লেখ করে বলা হয়, গত ক'দিন ধরে মধ্যরাতে বিদ্যুৎ বন্ধ করে‘ব্লক রেইডের' নামে ঢাকায় এক বিভীষিকাময় পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে। কমান্ডো স্টাইলে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে বিরোধীমতের লোকদের। রেহাই পাচ্ছে না পেশাজীবীরাও। অনেক সময় যাদের তুলে নেয়া হচ্ছে তাদের কথা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনী স্বীকার করতে চায় না। গ্রেফতারকৃতদের রিমান্ডে নিয়ে থানা হেফাজতে নির্মম শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ আমরা নিয়মিত পাচ্ছি। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের ক্ষেত্রে উচ্চ আদালতের সুস্পষ্ট নির্দেশনা থাকলেও সেগুলো মানা হচ্ছে না। পৈশাচিক নির্যাতনের কথা অনেকে আদালতে জানাচ্ছেন।

গণগ্রেফতার এবং রিমান্ডে এ ধরণের পাশবিক নির্যাতন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন এবং বাংলাদেশের সংবিধান ও উচ্চ আদালতের নির্দেশনার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন উল্লেখ করে সরকারকে এ ধরনের নিপীড়ন বন্ধ করার আহ্বান জানায় বিএসপিপি।


সর্বশেষ সংবাদ