আজ দেশের যেসব জায়গায় পালিত হচ্ছে ঈদুল আজহা

ঈদ উদযাপন
ঈদ উদযাপন  © সংগৃহীত

সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে আজ রোববার (১৬ জুন) বাংলাদেশে কিছু কিছু এলাকায় ঈদুল আজহা উদ্‌যাপন করা হচ্ছে। চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ সাদ্রা দরবার শরীফসহ জেলার প্রায় অর্ধশত গ্রামে এবারও আগাম পবিত্র ঈদুল আজহা পালিত হচ্ছে। শরীয়তপুরের ৩০ গ্রামেও আজ উদযাপন করা হবে ঈদুল আজহা। এছাড়া চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার মির্জারখীল দরবার শরিফের অনুসারীরাও এদিন ঈদুল আজহা উদ্‌যাপন করছেন।  

আন্তর্জাতিক হিজরি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী সারা বিশ্বে একই তারিখে ধর্মীয় উৎসবগুলো পালন করেন মুসলমানদের একটি অংশ। এরই অংশ হিসেবে আজ ঈদুল আজহা উদ্‌যাপন করছেন তারা। 

এ উপলক্ষে রাজধানীর পান্থপথে সামারাই কনভেনশন সেন্টারে তিনটি জামাত অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সকাল সোয়া ৭টায় অনুষ্ঠিত প্রথম জামাতে ইমামতি করেন এম শমসের আলী। এ ছাড়া সকাল সাড়ে ৮টায় দ্বিতীয় এবং সকাল সাড়ে ৯টায় তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

এদিকে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার মির্জারখীল দরবার শরিফের অনুসারীরা প্রায় ২০০ বছরের ঐতিহ্য অনুযায়ী দরবারের অনুসারী দক্ষিণ চট্টগ্রামের অন্তত ৬০ গ্রামবাসী এভাবে ঈদ, রোজা ও বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসব উদ্‌যাপন করে আসছেন।
 
জানা যায়, সাতকানিয়ার মির্জারখীল, এওচিয়ার গাটিয়া ডেঙ্গা, মাদার্শা, খাগরিয়ার মৈশামুড়া, পুরানগড়, চরতির সুইপুরা, চন্দনাইশের কাঞ্চননগর, হারালা, বাইনজুরি, কানাইমাদারি, সাতবাড়িয়া, বরকল, দোহাজারী, জামিরজুরি, বাঁশখালীর কালীপুর, চাম্বল, শেখেরখীল, ছনুয়া, আনোয়ারার বরুমছড়াসহ তৈলারদ্বীপের ৬০ গ্রামের বাসিন্দারা আজ ঈদের নামাজ শেষে পশু কোরবানি দিচ্ছেন।
 
এ ছাড়া চাঁদপুরের অর্ধশত গ্রামে একইদিন পবিত্র ঈদুল আজহা উদ্‌যাপন করা হচ্ছে। জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা, সমেশপুর, অলিপুর, বলাখাল, মনিহার, প্রতাপুর, বাসারা, ফরিদগঞ্জ উপজেলার লক্ষ্মীপুর, কামতা, গল্লাক, ভুলাচোঁ, সোনাচোঁ, উভারামপুর, উটতলি, মুন্সিরহাট, কাইতাড়া, মূলপাড়া, বদরপুর, আইটপাড়া, সুরঙ্গচাইল, বালিথুবা, পাইকপাড়া, নূরপুর, সাচনমেঘ, শোল্লা, হাঁসা, গোবিন্দপুর, মতলব উত্তর উপজেলার দশানী, মোহনপুর, পাঁচানী এবং কচুয়া ও শাহরাস্তি উপজেলার এমন অর্ধশত গ্রামের বাসিন্দারা এই ধর্মীয় উৎসবে শামিল হচ্ছেন। 

আরও পড়ুন: দুপুরের মধ্যে যেসব অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস

জানা গেছে, ১৯২৮ সাল থেকে সৌদি আরবসহ আরব দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা উদযাপনের নিয়ম চালু হয়। হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা দরবার শরীফের মরহুম পীর মাওলানা ইসহাক (রহ.) প্রথমে তার নিজ গ্রামে এবং পরে তার অনুসারীরা এমন নিয়ম মেনে রোজা রাখা শুরু করেন। সেই ধারাবাহিকতায় ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আজহা উদযাপন হয়ে আসছে। 

 

সর্বশেষ সংবাদ