দেশে এক বছরে ২৩৩ শিশু ধর্ষণের শিকার

জাতীয় মানবধিকার কমিশন
জাতীয় মানবধিকার কমিশন  © সংগৃহীত

সারাদেশে ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি ৩৩৫টি নারীর প্রতি সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এসব সহিংসতা পারিবারিক হওয়ায় ১৩৪টি ঘটনায় কোন মামলা হয়নি। এসময় দেশে ২৩৩ শিশু ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। জাতীয় মানবধিকার কমিশনের প্রকাশিত বার্ষিক প্রতিবেদন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

এছাড়াও পারিবারিক নারী নির্যাতনের ঘটনায় মামলা হয়েছে ২০১টি। একই বছর ৩০৬ ধর্ষণ, ২৯৪ নারী নির্যাতন ও ১৬৮ শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে।

 জাতীয় মানবধিকার কমিশন গত ৩১ মার্চ রাষ্ট্রপতির কাছে ২০২৩ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন হস্তান্তর করে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় ১৬টি পত্রিকার সংবাদ থেকে এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাস ছিল শিশুদের জন্য ভয়াবহ। ওই মাসে ৩৫ জন শিশু ধর্ষিত হয়েছে। অর্থাৎ গড়ে প্রতিদিন ১ জন শিশু ধর্ষিত হয়েছে। আর মার্চ মাসে ৩৩ ও এপ্রিল মাসে ২৯ জন শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। ২৩৩ শিশু ধর্ষনের ঘটনায় মামলা হয়েছে ১৭৫টি। অন্যদিকে ১৬৮টি শিশু নির্যাতনের ঘটনায় মামলা হয়েছে ১০৫টি। একই সময়ে ধর্ষণের পর ৩৪টি হত্যার ঘটনা ও ৬টি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে।

আরো পড়ুন: আত্মহত্যা করা শিক্ষার্থীদের ৬০ শতাংশই নারী, বেশি অভিমান ও প্রেমঘটিত

মানবধিকার কমিশন বলছে, ২০২৩ সালে কারা হেফাজতে মারা গেছেন ৬ জন। তবে এসব ঘটনায় কোন মামলা হয়নি। একইভাবে কথিত বন্দুক যুদ্ধে ৫ জন মারা গেলেও কোন মামলা হয়নি। গত বছর ৬২ জন শ্রমিক মারা গেছে, ৫০টি নিখোঁজ ও ৩টি গুমের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

কমিশনের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ২০২৩ সালে মানবধিকার লঙ্ঘনের ৫৭২টি অভিযোগ পায় কমিশন। যার মধ্যে ৩৬৭টি নিষ্পত্তি করা হয়েছে, আর ১৮২টি অভিযোগ নিয়ে কার্যক্রম চলমান আছে। একই সময়ে সুয়োমেটো (স্বপ্রণোদিত) অভিযোগের সংখ্যা ১১২টি। যার মধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে ৫০টি, চলমান রয়েছে ৭২টির। প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা, ফিলিস্তিন ও হিরো আলমসহ বিভিন্ন প্রসঙ্গ তুলে ধরা হয় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিবেদনে।

কমিশন জানায় প্রাপ্ত ৫৭২টি অভিযোগের মধ্যে জমিজমা দখল সংক্রান্ত অভিযোগ ১১০টি, যার মধ্যে ৭৫টি নিষ্পত্তি করা হয়েছে। এছাড়া চাকরি ও বেতন ভাতা সংক্রান্ত অভিযোগ ৫২টি, যার মধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে ৩৫টি।


সর্বশেষ সংবাদ