ফেক আইডিতে প্রেম, দেখা করতে বরগুনায় এসে প্রতারিত যুবক

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রেম করে বরগুনার তালতলীতে দেখা করতে এসে ভুয়া আইডির প্রতারণা শিকার হয়েছেন আলআবি মৃধা নামের এক যুবক। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার তুলাইশিমুল গ্রামের বাসিন্দা মনিরুজ্জামান মৃধার ছেলে তিনি। ফেসবুকে যে নামের আইডির সাথে তিনি কথা বলেছেন এতদিন—সেই নামের নারী বিবাহিত আর এ বিষয়ে ওই গৃহবধূ কিছুই জানে না।

বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুরের দিকে বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আলআবিকে তার পরিবারের সদস্যদের জিম্মায় দিয়েছে তালতলী থানা পুলিশ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বেশ কিছুদিন আগে ফেসবুকে আরিফা ইসলাম নামে এক তরুণীর সঙ্গে আলাপ হয় আলআবি মৃধার। পরে এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা প্রেমের সম্পর্কে রূপ নেয়। তারপর কয়েক দিন আগে তাকে বরগুনার তালতলী উপজেলার নয়াপাড়া এলাকায় আসার আমন্ত্রণ জানানো হয় আরিফা ইসলামের আইডি থেকে।

প্রেমের টানে ওই বান্ধবীকে এক নজর দেখতে ছুটে আসেন তালতলীতে। তবে এসে তিনি জানতে পারেন যে আরিফা ইসলাম নামে যে ফেসবুক আইডির সঙ্গে তিনি এতদিন কথাবার্তা ও ভাব বিনিময় করেছেন, সেই আইডিটি ভুয়া। তবে নয়াপাড়া এলাকায় আরিফা ইসলাম নামের এক নারী আছেন, তবে তিনি বিবাহিত এবং শ্বশুর বাড়িতে থাকেন। ভুয়া আইডিটি তৈরি করা হয়েছে আরিফা ইসলামের নাম ও ছবি ব্যবহার করে।

আরিফার পক্ষ থেকে জানিয়েছে, আলআবিকে তিনি চেনেন না এবং  তার নাম-ছবি ব্যবহার করে যে একটি সক্রিয় ভুয়া আইডি তৈরি হয়েছে— তা ও তিনি জানতেন না। কারা এই আইডি বানিয়েছে এবং আলআবির সাঙ্গ বার্তা আদান-প্রদান করেছে— সে সম্পর্কেও কোনো সূত্র বা তথ্য দিতে পারেননি তিনি।

ভুক্তভোগী প্রেমিক আলআবি মৃধা সাংবাদিকদের বলেন, আরিফা ইসলাম নামের ফেসবুক আইডির সাথে প্রথমে একটি গ্রুপের মাধ্যমে পরিচয় হয়। পরে মেসেঞ্জারে তার সাথে কথা বলতে বলতে একটা ভালো সম্পর্ক হয়। আমাকে দেখা করতে আসতে বলায় ঠিকানা অনুযায়ী এসে জানতে পারি ওই নামে যার ছবি দিয়ে ফেসবুক আইডি তৈরি করা হয়েছ তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না। পরে রাতে স্থানীয় একজনের বাসায় আশ্রয় নেই।

এ প্রসঙ্গে তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনাটি জানার পর এবং এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হওয়ায় আলআবি মৃধাকে পুলিশের হেফাজতে নিয়ে আসা হয়। পরে তার পরিবারকে খবর দিয়ে আসতে বলা হয়। এ ঘটনায় কোন অভিযোগ না থাকায় আলআবিকে তার মা ও বোনের জিম্মায় দিয়ে দেওয়া হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ