শ্রেণিকক্ষে নেই শিক্ষার্থী, মোবাইলে ব্যস্ত শিক্ষিকা

৮৭ নং মধ্য চরশুভি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে নেই 
কোনো শিক্ষার্থী। রবিবার দুপুর ১২টার চিত্র এটি।
৮৭ নং মধ্য চরশুভি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে নেই কোনো শিক্ষার্থী। রবিবার দুপুর ১২টার চিত্র এটি।  © টিডিসি ফটো

পরিপাটি দ্বিতল পাকা ভবন। শিক্ষার্থী শূন্য কক্ষ। শিক্ষিকা জান্নাতুল ফেরদাউস কক্ষে বসে মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন। অপর এক সহকারী শিক্ষক বিদ্যালয়ের বারান্দায় দাঁড়িয়ে প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করছে। প্রধান শিক্ষক তার চেয়ারে বসে আছেন। গুটি কয়েক শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ের আঙ্গিনায় ছুটাছুটি করছে। বিদ্যালয়ে ৬ জন শিক্ষকের মধ্য প্রধান শিক্ষকসহ তিনজন উপস্থিত থাকলেও বাকিরা অনুপস্থিত। এভাবেই চলছে প্রাথমিকের একটি বিদ্যালয়।

রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২ টায় ভোলার দৌলতখান উপজেলার চরপাতা ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডে অবস্থিত ৮৭ নং মধ্য চরশুভি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গিয়ে দেখা গেছে এমন দৃশ্য। 

উপস্থিত শিক্ষার্থীরা বলেন, তাদের কোনো ক্লাস নেওয়া হয়নি। এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদ উদ্দিন জানান, বিদ্যালয়ে ৬ জন শিক্ষক রয়েছেন। এদের মধ্যে মাতৃত্বকালীন ছুটিতে রয়েছেন সহকারী শিক্ষিকা নাজনিন আক্তার। এছাড়া সহকারী শিক্ষক সালাউদ্দিন ও জাহাঙ্গীর আলম পারিবারিক কাজে ঢাকায় আছেন।

শিক্ষকরা আপনার কাছে ছুটির জন্য লিখিত আবেদন করেছে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধান শিক্ষক বলেন, তারা ছুটির লিখিত কোন আবেদন করেননি। তবে মোবাইল ফোনে বিষয়টি জানিয়েছেন। তাই শিক্ষক স্বল্পতা থাকায় ক্লাস নেওয়া সম্ভাব হয়নি।

এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মো. তৌহিদুল ইসলাম জানান, বিষয়টি আমি জানতে পেরেছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।


সর্বশেষ সংবাদ