বিএসএফের গুলিতে নিহত বিজিবি সদস্য রইশুদ্দীনের মরদেহ হস্তান্তর 

বিএসএফের গুলিতে নিহত বিজিবি সদস্য রইশুদ্দীনের মরদেহ হস্তান্তর 
বিএসএফের গুলিতে নিহত বিজিবি সদস্য রইশুদ্দীনের মরদেহ হস্তান্তর   © সংগৃহীত

যশোরের বেনাপোলের ধান্যখোলা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সিপাহি মোহাম্মদ রইশুদ্দীনের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। বুধবার (২৪ জানুয়ারি) সকালে শার্শা শিকারপুর সীমান্ত দিয়ে তার মরদেহ বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে বিএসএফ।

এর আগে গত সোমবার (২২ জানুয়ারি) ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে এ ঘটনা ঘটে যশোরের শার্শা উপজেলার ধান্যখোলা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সিপাহি মোহাম্মদ রইশুদ্দীন নিহত হন। এরপর দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে বিজিবির পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে বিষয়টি জানানো হয়।

এ বিষয়ে বিএসএফকে সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানানোর পাশাপাশি কূটনৈতিকভাবে তীব্র প্রতিবাদ লিপি পাঠানো হয়। এছাড়া, দ্রুততম সময়ে মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনতে সব পর্যায়ে যোগাযোগ অব্যাহত রাখে বিজিবি।

বিজিবির ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়–সোমবার ভোররাত আনুমানিক সাড়ে ৫টার দিকে বিজিবির টহল দল ধান্যখোলা বিওপির জেলেপাড়া পোস্ট এলাকায় ভারত থেকে সীমান্ত অতিক্রম করে একদল গরু চোরাকারবারিদের আসতে দেখে।

বিজিবি সদস্যরা চ্যালেঞ্জ করলে তারা দৌড়ে ভারতের দিকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। ওই টহল দলের সদস্য সিপাহি মোহাম্মদ রইশুদ্দীন চোরাকারবারিদের পেছনে ধাওয়া করেন এবং ঘন কুয়াশার কারণে দলবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন।

এতে আরও জানানো হয়—প্রাথমিকভাবে তাকে খুঁজে পাওয়া না গেলেও পরবর্তীতে বিভিন্ন মাধ্যমে জানা যায়, তিনি বিএসএফের গুলিতে আহত হয়ে ভারতের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনার পরপরই এ বিষয়ে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় এবং জানা যায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রইশুদ্দীনের মৃত্যু হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ