আওয়ামী লীগ দেশকে ভারতের অঙ্গরাজ্য বানাতে চায়: চরমোনাই পীর 

চরমোনাই পীর সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম
চরমোনাই পীর সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম  © ফাইল ছবি

‘দিল্লি থাকলে আমরাও আছি’ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর ও চরমোনাই পীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্য প্রমাণ করে তারা আমার প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশকে ভারতের অঙ্গরাজ্য বানাতে চায়। অথচ বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ।

আজ শনিবার (৭ অক্টোবর) বিকেলে পুরানা পল্টন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

চরমোনাই পীর বলেন,  লাখো শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে এদেশ স্বাধীন হয়েছে। এ দেশ স্বাধীন করতে লাখো মা-বোন তাদের ইজ্জত হারাতে হয়েছে। অনেক মা তার বুক খালি করেছে। অনেক বোন হয়েছে বিধবা। অনেক সন্তান হয়েছে বাবা হারিয়ে এতিম। আত্মত্যাগে ছিনিয়ে আনা।

তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতা আজ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য ধ্বংস করবে এটি এদেশের মানুষ বরদাশত করবে না। মানুষ স্বাধীনতা রক্ষায় প্রয়োজনে আবার রাজপথে নেমে আসবে। 

ওবায়দুল কাদেরে বক্তব্য সুস্পষ্ট রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল। আওয়ামী লীগ পুনরায় ক্ষমতায় আসলে দেশ ধ্বংস করে ফেলবে। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়বে। মানুষের বাকস্বাধীনতার টুটি চেপে ধরবে বলে মন্তব্য করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতি রেজাউল করিম।

চরমোনাই পীর বলেন, ওবায়দুল কাদের বলছেন, তলে তলে সমঝোতা হয়ে গেছে। আমি বলি তলে তলে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে দেশের জনগণ সরকারের পতন আন্দোলনে তৈরি হয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, ছলচাতুরির আশ্রয় না নিয়ে ক্ষমতা ছেড়ে জাতীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন। অন্যথায় দেশের জনগণ আপনাদেরকে চরম শিক্ষা দেবে।

আরও পড়ুন: ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকাটা আমাদের জন্য ভালো: কাদের

সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী। সংগঠনের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন প্রেসিডিয়াম সদস্য আল্লামা নূরুল হুদা ফয়েজী, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মাওলানা লোকমান হোসেন জাফরী, ইসলামী যুব আন্দোলনের সভাপতি মাওলানা মোহাম্মদ নেছার উদ্দিন, অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের সদস্য সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, ইসলামী আইনজীবী পরিষদের অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ হানিফ মিয়া, জাতীয় শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক নাসির উদ্দিন খান, মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল মজুমদার, আলহাজ্ব আলতাফ হোসেন, ডা. শহিদুল ইসলাম, কেএম শরীয়াতুল্লাহ, হাফেজ মাওলানা মাকসুদুর রহমান, ফজলুল হক মৃধা, এম এম শোয়াইব, মুফতি আখতারুজ্জামান, হাফেজ শাহাদাত হোসেন প্রধানিয়া, আল-আমিন সোহাগ, ইউসুফ পিয়াস, আবদুর রহমান প্রমুখ।

সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা ইমতিয়াজ আলম বলেন, প্রধানমন্ত্রী! সময় থাকতে পদত্যাগ করুন। না হলে ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে ক্ষিপ্ত হবেন।


সর্বশেষ সংবাদ