বাংলাদেশে ডেঙ্গু বাড়ায় শিশুদের মধ্যে চিকিৎসা-সহায়তা দিচ্ছে ইউনিসেফ
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৮ আগস্ট ২০২৩, ০১:৫৩ PM , আপডেট: ২৮ আগস্ট ২০২৩, ০১:৫৩ PM
সারাদেশে ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ বেড়ে গেছে। প্রতিদিনই শনাক্তের সংখ্যা বাড়ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যাও। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে অনূর্ধ্ব-১৫ বছর বয়সী শিশুর সংখ্যা ২১ হাজারেরও বেশি। ১৫ বছরের কম বয়সী প্রায় ২১ হাজারেরও বেশি শিশু ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার খবরে ইউনিসেফ বাংলাদেশে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সরকারের প্রচেষ্টার প্রতি সহায়তা জোরদার করছে।
রোববার (২৭ আগস্ট) ইউনিসেফ বাংলাদেশ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সংস্থাটি জানিয়েছে, শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে জরুরি ভিত্তিতে ২২ লাখ ৫০ হাজার ইউএস ডলার (২৪ কোটি ৬৯ লাখ সাড়ে ৫৪ হাজার টাকা) সমমূল্যের প্রয়োজনীয় ডেঙ্গু শনাক্তকরণ কিট দেওয়া হবে। এছাড়া পেশাদারদের জন্য প্রশিক্ষণের পাশাপাশি স্বাস্থ্য, পানি, পয়ঃনিষ্কাশন এবং স্বাস্থ্যবিধি খাতে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রী ও সেবা দেওয়া হবে।
ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব এখন দেশের ৬৪ জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, প্রায় এক লাখ ১২ হাজারের বেশি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে, যার প্রায় ২০ শতাংশই হলো ১৫ বছরের কম বয়সী শিশু। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত প্রায় ৫০০ এরও অধিক মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
বিশ্বে যখন জলবায়ুজনিত বিপর্যয়ের সংখ্যা বৃদ্ধির প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, ঠিক সেই সময়ে জলবায়ু পরিবর্তন ডেঙ্গুর মতো মশাবাহিত রোগের বিস্তার বাড়িয়ে তুলছে, যা বড়দের পাশাপাশি সরাসরি শিশুদের জীবনেও প্রভাব ফেলছে।
বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট বলেন, ‘বাংলাদেশে ডেঙ্গু সংকট বাড়তে থাকায় আরো একবার এখানকার শিশুরা জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতির অগ্রভাগে রয়েছে।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার দেশে চলমান ডেঙ্গু পরিস্থিতির জন্য একটি সময়োপযোগী ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। ‘আমরা পরীক্ষার কিট, চিকিৎসা সামগ্রী, মশারি সরবরাহ করছি। মশার প্রজনন স্থানগুলো নির্মূল করতে সিটি কর্পোরেশন ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে কাজ করছি।’