বাবা-মাকে গালি দেওয়ার প্রতিবাদ করায় শিক্ষার্থীকে কুপিয়ে জখম

ভুক্তভোগী হাসিবুল হাসান জয়
ভুক্তভোগী হাসিবুল হাসান জয়  © সংগৃহীত

বগুড়ায় বাবা-মাকে গালি দেওয়ার প্রতিবাদ করায় এক শিক্ষার্থীকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় থানায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে মামলা করা হয়েছে।

রবিবার বিকেলে বগুড়া সদরের লতিফপুর মধ্যপাড়ায় এই ঘটনা ঘটে।

আহত শিক্ষার্থীর নাম এস এম হাসিবুল হাসান জয়। তিনি ভারতের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএর শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী। জয় পাবনার সুজানগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা এস এম শামছুল আলমের ছোট ছেলে।

মামলার আসামিরা হলেন, মো. শামীম, মো. লিটন এবং মোছা. কুমকুম। তারা তিনজনই লতিফপুর মধ্যপাড়ার বাসিন্দা।

অভিযোগ উঠেছে, মামলার দুই নম্বর আসামি মো. লিটন পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার আত্মীয়। ঘটনার পর থেকে মামলা ভিন্ন খাতে নিতে তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন ওই কর্মকর্তা। ঘটনার ২৪ ঘণ্টা অতিবাহিত হলেও এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। বিষয়টি নিয়ে চরম আতঙ্কে রয়েছেন ভুক্তভোগীর পরিবার। 

মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, লতিফপুর মধ্যপাড়ার মো. সবুর নামে এক ব্যক্তির মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে জয়ের। জয়কে ওই মেয়ের সাথে মেলামেশা করতে নিষেধ করেন লিটন। বিষয়টি নিয়ে রবিবার বিকেলে জয়ের বাবা এস এম শামছুল আলমের সাথে কথা বলেন মামলার আসামিরা। 

আলোচনার এক পর্যায়ে ভুক্তভোগীর বাবাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন লিটন। এর প্রতিবাদ করলে ধারালো কেচি দিয়ে জয়ের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে লিটনসহ অন্যরা। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় জয়কে উদ্ধার করে মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে লতিফপুর মধ্যপাড়ার এক বাসিন্দা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, লিটনের পরিবার স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী। লিটনের ভাগ্নি ফারজানা সাথী পুলিশের এসপি। সাথীর স্বামী পুলিশের ডিআইজি পদের কর্মকর্তা। এজন্য পুলিশ শুরুতে মামলাও নিতে চায়নি।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জয় দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, একজন সন্তানের সামনে তার বাবা-মাকে গালি দিলে কেউ সহ্য করবে না। আমি আমার বাবাকে গালি দেওয়ার জন্য লিটন আংকেলকে সরি বলতে বললে সে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার ওপর হামলা চালায়।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, জয়ের ডান গালে গভীর ক্ষত হয়েছে। এখানে আটটি সেলাই পড়েছে। এছাড়া বাম হাত ও হাতের আঙ্গুলেও ক্ষত হয়েছে। আপাতত তাকে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন চিকিৎসরা।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে মো. লিটনের ব্যবহৃত নাম্বারে কল দেওয়া হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, শিক্ষার্থীর ওপর হামলার ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি।

মামলার কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কি না জানতে চাওয়া হলে তিনি ফোন কেটে দেন।


সর্বশেষ সংবাদ