বাবার ওপর অভিমান করে স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা

  © সংগৃহীত

বাবার প্রতি৷ অভিমান করে দশম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। আজ রোববার সকালে জয়পুরহাটের আক্কেলপুরের শিয়ালা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। 

আত্মহত্যাকারী স্কুলছাত্রীর নাম সাদিয়া আক্তার লুনা (১৭)। সে ওই গ্রামের আব্দুস ছোবহান খানের দ্বিতীয় মেয়ে। সাদিয়া স্থানীয় কাশিড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। 

জানা গেছে, সাদিয়া পড়াশোনা না করায় বকাঝকা করেছিলেন বাবা। পরে রাতে না খেয়েই ঘুমাতে যায় সে। সকালে বোন তাকে ডাকতে গিয়ে দেখেন সাদিয়ার মরদেহ ঝুলছে ঘরের আড়ার সঙ্গে। 

সাদিয়ার বড় বোন বলেন, আমি কলেজে পড়াশোনা করি। রাতে আমি নিচ তালায় ঘুমিয়েছিলাম। আর আমার বোন রাতে না খেয়ে ওপর তলায় তার ঘরে ঘুমাতে যায়। সকাল পাঁচটার দিকে আমি সাদিয়াকে ডাকতে ওর ঘরে গিয়ে দেখি, সাদিয়া গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলে আছে। আমার বোনের দীর্ঘদিন থেকে মাথারও সমস্যা ছিল। স্থানীয় কবিরাজের চিকিৎসাও চলছিল।’

সাদিয়ার বাবা আব্দুস ছোবহান বলেন, ‘আমার মেয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে জিপিএ-৫ পেয়েছিল। পরে জিনের আছরের কারণে মাঝে মধ্যেই ঘরের এক কোনায় লুকায়ে থাকত। এমন অবস্থায় সে তেমন পড়াশোনা করত না। শনিবার বিকেলে সাদিয়া মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করে না দেখে, আমি বকাঝকা করেছিলাম।

তিনি আরও বলেন, রাতে খেয়েছিল কি না আমি জানি না। ওই অভিমানেই মেয়ে আমার গলায় ফাঁস দিয়ে নিজের জীবন শেষ করেছে।

এ বিষয়ে আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। সেখানে প্রাথমিক তদন্ত এবং সাদিয়ার বাবা-মা উপস্থিত গ্রামবাসীর কাছে স্বীকার করেছেন যে, শনিবার বিকেলে বাবা সাদিয়াকে পড়াশোনার জন্য বকাঝকা করেছিলেন। সেই অভিমানে সে রাতের খাবারও খায়নি। পরে সে এই কাজ করেছে।

ওসি আরও বলেন, পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না পাওয়ায়, মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি ইউডি মামলা দায়ের হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ