কুমিল্লায় ছাত্রলীগ-ছাত্রদল সংঘর্ষে আহত ৫

হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন 
আহত ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা
হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন আহত ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা   © সংগৃহীত

কুমিল্লার লাকসামে ছাত্রলীগ এবং ছাত্রদলের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে পাঁচজন আহত হয়েছেন। ছাত্রদল অতর্কিত হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ ছাত্রলীগের। হামলায় উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি অনিক এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৌরভ গুরুতর আহত হয়েছেন। 

বুধবার (২১ জুন) রাতে লাকসাম পৌরশহরে পৃথক পৃথক সংঘর্ষের ঘটনায় আহত ছাত্রলীগ দুই নেতার অবস্থা আশঙ্কাজনক।

জানা গেছে, বুধবার রাত পৌনে ৮টার দিকে লাকসাম পৌর শহরের পূর্ব বাজার লাকসাম-চৌদ্দগ্রাম সড়কে এক আওয়ামী লীগ নেতার কার্যালয়ের সামনে ছাত্রলীগ কর্মীরা ছাত্রদল নেতা আলী হোসেনের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় তাকে বেধড়ক মারধর করা হয়। পরে দলীয় নেতা-কর্মীরা আহত ছাত্রদল নেতাকে উদ্ধার করে পৌরশহরের দক্ষিণ বাইপাস এলাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করেন।

আরও পড়ুন: ফল ভালো না হওয়ায় নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার চেষ্টা 

এ সময় ছাত্রলীগ কর্মীরা খবর পেয়ে ওই হাসপাতালে গেলে সেখানে অবস্থানরত ছাত্রদল কর্মীরা ছাত্রলীগের কর্মীদের ওপর পাল্টা হামলা করে। একপর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি অনিক এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৌরভ ছুরিকাহত হন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ছুরিকাহত ছাত্রলীগের ওই দুই নেতাকে লাকসামের একটি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে দ্রুত কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় অনিককে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই রাজধানী ঢাকায় স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছ। ছাত্রলীগের ওই দুই নেতার ওপর যুবদল নেতা রকির নেতৃত্বে ছাত্রদল কর্মীরা বুকে এবং পাঁজরে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে বলে অভিযোগ উঠেছে।

আরও পড়ুন:  চবিতে সাংবাদিককে মারধর: দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে ছাত্রলীগ  

এদিকে এ ঘটনার পর বিক্ষুদ্ধ ছাত্রলীগকর্মীরা পৌর এলাকার গাজিমুড়া গ্রামে যুবদলকর্মী রকির বাড়ি-ঘরে হামলা চালান বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনার পর ছাত্রদলকর্মীরা গা ঢাকা দিয়েছেন।

এ ব্যাপারে লাকসাম থানার ডিউটি অফিসার সহকারী উপ-পরিদর্শক রাসেল জানান, ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি এবং কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।


সর্বশেষ সংবাদ