মায়ের শাড়ি জড়িয়ে কবরে শায়িত হলেন দাদা ভাই

  © সংগৃহীত

মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সিরাজুল আলম খানের মরদেহ তাঁর ইচ্ছে অনুযায়ী গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের চৌমুহনী পৌরসভার আলীপুরের বাড়িতে দাফন করা হয়েছে। নিজের মায়ের শাড়ি জড়িয়ে, মায়ের কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন ‘দাদাভাই’ খ্যাত এ প্রবীণ রাজনীতিক। আজ শনিবার আসরের নামাজের পর বেগমগঞ্জ সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় জানাজা শেষে তাঁর দাফন সম্পন্ন হয়।

এর আগে সকাল থেকে সিরাজুল আলম খানের মরদেহ একনজর দেখতে তাঁর বাড়িতে ভিড় জমান বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। এর আগে সকাল ১০টায় মরহুমের প্রথম জানাজা ঢাকায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে তাঁর মরদেহ নোয়াখালীতে গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিয়ে বেলা ২টায় গ্রামের বাড়িতে এসে পৌঁছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, ঢাকা মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম, জেএসডির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক জিয়াউল হক মুক্তা, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জাফর উল্যা, চৌমুহনী পৌরসভার মেয়র খালেদ সাইফুল্যা, বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

প্রসঙ্গত, দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ‘দাদাভাই’ খ্যাত সিরাজুল আলম খান ১৯৬১ সালে ছাত্রলীগের সহসাধারণ সম্পাদক হন। ১৯৬৩ সালে তিনি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৭২ সালে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) গঠিত হয় তাঁর উদ্যোগেই। এই নেতা গতকাল শুক্রবার বেলা আড়াইটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। তিনি উচ্চ রক্তচাপ, শ্বাসকষ্ট, ফুসফুসে সংক্রমণসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন।


সর্বশেষ সংবাদ