আরও দুইদিন থাকতে পারে তাপপ্রবাহ, শেষে ঘূর্ণিঝড়ের আভাস
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৩, ০৮:৫২ AM , আপডেট: ০৪ জুন ২০২৩, ০৮:৫২ AM
গত গয়েকদিন ধরেই তীব্র গরমে হাঁসফাঁস জনজীবন। আগামী দুই দিন সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে বা সামান্য বাড়তে পারে। তবে বর্ধিত আবহাওয়ার অবস্থায় বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আশঙ্কা করছেন আবহাওয়াবিদরা। বাড়তে পারে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা। জুনে ১১ বছরের রেকর্ড ভাঙা তাপমাত্রায় নতুন করে প্রাকৃতিক দুর্যোগের দুঃসংবাদ আবহাওয়া বিশ্লেষকদের।
রবিবার (৪ জুন) সন্ধ্যা পর্যন্ত খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
ভারতের কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তর বলছে, আগামী ৫ জুন সাগরে ঘূর্ণাবর্ত তৈরির শঙ্কা রয়েছে। যা পরবর্তীতে নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিতে পারে। রাজশাহী, নওগাঁ, নীলফামারী ও দিনাজপুর জেলাগুলোর ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও বরিশাল বিভাগসহ রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং মৌলভীবাজার, চাঁদপুর ও নোয়াখালী জেলাগুলোর ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
অন্যদিকে আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান বলেন, সাগরের সি সার্ফেস তাপমাত্রা ২৬ দশমিক ৫ এর ওপরে থাকা ঘূর্ণিঝড়ের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ। যা বর্তমানে ২৭ থেকে ২৮ ডিগ্রিতে রয়েছে। এর ফলে একটি ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে আগামী ৭ থেকে ৮ জুন নিম্নচাপ তৈরি হলে বিস্তারিত জানা যাবে।
আরও পড়ুন: আসছে দুটি সাইক্লোন ‘বিপর্যয়’ ও ‘তেজ’
উল্লেখ্য, আবহাওয়া ও জলবায়ু গবেষক মোস্তাফা কামাল পলাশ জানিয়েছেন, ৬ থেকে ৮ জুনের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে একটি এবং ৭ থেকে ৯ জুনের মধ্যে আরব সাগরে আরেকটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়টি ১১ থেকে ১২ জুনের মধ্যে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য ও বাংলাদেশের বরিশাল বিভাগের মধ্যবর্তী কোনো স্থানের উপকূল দিয়ে স্থলভাগে আঘাতের আশঙ্কা রয়েছে।
অন্যদিকে আমেরিকান গ্লোবাল ফোরকাস্ট সিস্টেমের বরাত দিয়ে তিনি জানান, বঙ্গোপসাগরে ১১ থেকে ১২ জুন ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’ সৃষ্টি হয়ে ১৩ থেকে ১৪ জুনের মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগের উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানতে পারে। তবে আবহাওয়া অধিদপ্তর এখনো পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়ের কোনো তথ্য জানায়নি।