দুর্যোগের আগেই খাবার-পানি নিয়ে প্রস্তুত ফারাজ করিম

দুর্যোগের আগেই খাবার-পানি নিয়ে প্রস্তুত ফারাজ করিম
দুর্যোগের আগেই খাবার-পানি নিয়ে প্রস্তুত ফারাজ করিম  © সংগৃহীত

যেখানেই মানবিক বিপর্যয় ঘটে, সেখানেই আশার আলো হয়ে হাজির চট্টগ্রামের মানবিক তরুণ রাজনীতিবিদ ফারাজ করিম চৌধুরী। কক্সবাজার-উত্তর মায়ানমার উপকূল অতিক্রম শুরু করেছে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’। কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৯৫ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ২১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। আসন্ন এই দুর্যোগের আগেই খাবার-পানি নিয়ে প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন ফারাজ করিম চৌধুরী।

এদিকে বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে স্বেচ্ছাসেবী টিম নিয়ে টেকনাফে অবস্থান করছেন রাউজানের ফারাজ করিম চৌধুরী। সামাজিক কাজে অন্যদের তুলনায় এক ধাপ এগিয়ে থাকতে দেখা যায় তাকে। এবার ঘূর্ণিঝড় যখন বাংলাদেশ উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে, তখন তিনিও ঝড়ের গতির সঙ্গে তাল মিলিয়েছেন। ছুটে গেছেন টেকনাফে। 

রোববার (১৪ মে) সামাজিক যোগাযোগের মধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও পোস্ট করে তিনি কলেন, তিনি এখন শাহ পরীর দ্বীপে পর্যটকে আছেন। এর আগে, শনিবার বিকেল ৫টা ৩৪ মিনিটে সামাজিক যোগাযোগের মধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও পোস্ট করে তিনি কলেন, ‘এখানে সাগরের অবস্থা অত্যন্ত ভয়াবহ।’

বিষয়টি মাথায় রেখে শনিবারই বিপুল খাবার নিয়ে টেকনাফে পৌঁছেছেন ফারাজ করিম চৌধুরী। এরমধ্যে অনেক খাবার বিরতণের জন্য প্রস্তুতও করা হয়েছে।

এর আগে দুপুর ৩টা ৫৭ মিনিটে ফারাজ লিখেছেন, ‘বাংলার মানুষের জন্য আপনি যদি অল্প কিছু করেন, তাহলে পুরো পৃথিবীটা আপনাকে এনে দিতে চাইবে। গতকাল রাতে ঢাকা থেকে টেকনাফ আসার পথে প্রায় ৩টি জায়গায় বিরতি দিয়ে চা, কফি ও পানি খেয়েছি। একটি জায়গায়ও জোর করে কাউকে খাবারের বিল দিতে পারিনি।

তাদের কথা হচ্ছে, যেহেতু আমরা মানুষের জন্য কাজ করতে যাচ্ছি, তারা আমাদের কাছ থেকে পয়সা নিবে না। আসলে এখানে পয়সাটা বড় বিষয় নয়, মানুষের আন্তরিকতা ও ভালবাসাটাই বড় বিষয়।’ সবচেয়ে বেশি ভালো লাগছে, সেখানকার স্থানীয় লোকজন যখন শুনেছে আমরা টেকনাফের ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য কাজ করতে এসেছি, তারা সাথে সাথে আমাদের সাথে যোগদান করেছে। আপনারা সবাই আমাদের স্বেচ্ছাসেবীদের জন্য দোয়া করবেন।’

নিজের ফেসবুক পেজে খাদ্যসামগ্রীর ছবিসহ দেওয়া একটা স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য আমরা আরও কয়েক হাজার খাদ্যসামগ্রী প্যাকেটিং করব। আমাদের এই কাজে স্বেচ্ছাসেবীদের সহযোগিতা প্রয়োজন। যারা এ কাজে যুক্ত হতে চান তারা রোববার (১৪ মে) সকাল ১০টায় এই স্থানে (ইসহাক এন্ড ব্রাদার্স, ভেড়া মার্কেট, নতুন চাক্তাই, চট্টগ্রাম) চলে আসুন। প্রয়োজনে এই নাম্বারে 01859-373148 যোগাযোগ করুন।’

এর আগেও ফারাজ করিমের ডাকে সাড়া দিয়ে শত শত তরুণ স্বেচ্ছাসেবকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। সকলে মিলে হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন সাধারণ মানুষের সেবায়। সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া বিভিন্ন দূর্যোগে সাধারণ মানুষের পাশে ঢাল হয়ে দাঁড়াতে দেখা গেছে এই তরুণকে। ফিলিস্তিলের মুসলিমদের জন্যও বাংলাদেশ থেকে সহযোগিতা পাঠানোর আলোকবর্তিকা হিসেবে কাজ করেছেন তিনি।

বঙ্গবাজারে ভয়াবহ আগুনে ভস্মীভূত ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করা ভেজা ও পরিত্যক্ত কাপড় কেনা শুরু করেছেন বিশিষ্ট সমাজ সেবক ফারাজ করিম চৌধুরী।


সর্বশেষ সংবাদ