ফি নিয়েও ছাত্রীর ফরম পূরণ করেননি প্রধান শিক্ষক

নওগাঁয় এক এসএসসি পরীক্ষার্থীর কাছে টাকা নিয়েও রেজিষ্ট্রেশন না করানোর অভিযোগ উঠেছে এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এর ফলে ওই ছাত্রী চলমান এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি।

ধামইরহাটের ভাতকুন্ডু খাতেমন নেসা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগীর নাম জহুরা জাবিন। 

জাবিব স্কুলের টেস্ট পরীক্ষায় আট বিষয়ে ফেল করেছিলেন। তবে তাকে এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার আশ্বাসে তার পরিবারব্র কাছ থেকে ফরম পূরণ ও অনুসাঙ্গিক ফি বাবদ ৮ হাজার টাকার নিয়ে তার ফরম পূরণ করেননি। এর ফলে ওই ছাত্রী চলমান এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি।  

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, জহুরা জাবিন ভাতকুণ্ডু কেএন উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী। গত ২৭ এপ্রিল সে স্কুলে এসএসসি পরীক্ষার প্রবেশপত্র নেয়ার জন্য যায়। তখন প্রধান শিক্ষক জহুরাকে প্রবেশপত্র না দিয়ে জানান, বোর্ড থেকে তার অ্যাডমিট কার্ড আসেনি। পরে ছাত্রীর পরিবারের সদস্যরা প্রধান শিক্ষকের বাড়িতে প্রবেশপত্র নেয়ার জন্য গেলে প্রধান শিক্ষক তাদের সঙ্গে দেখা করেনি। তারা প্রধান শিক্ষকের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও সাড়া দেননি তিনি। অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়, প্রধান শিক্ষক ফরম পূরণ, কোচিং ও বিদায় অনুষ্ঠানের জন্য সর্বমোট ৮ হাজার ৭০০ টাকা নিয়েছেন। কিন্তু ফরম পূরণ না করানোয় জহুরা জাবিন এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি।

জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন,  তার কাছে থেকে কোনো টাকা আমি নেয়া হয়নি। ওই ছাত্রীর পরিবার তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছে বলে জানান প্রধান শিক্ষক।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জুলফিকার আলী শাহ বলেন, উপজেলা নিবার্হী অফিসারকে দেয়া অভিযোগটির তদন্তভার আমার উপর আসে। আমি বুধবার সরেজমিনে তদন্ত করেছি। দেখা গেছে, ওই ছাত্রী প্রতিষ্ঠানের নিয়মিত শিক্ষার্থী ছিলেন। সে প্রধান শিক্ষককে ফরম পূরণ, অতিরিক্ত ক্লাস ও দোয়া অনুষ্ঠানের টাকা দিয়েছে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। ওই শিক্ষার্থী চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষার প্রবেশপত্র না পাওয়ায় পরীক্ষা দিতে পারেনি। এ বিষয়ে খুব শিগগিরই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে।


সর্বশেষ সংবাদ