রোজায় চোখ রাঙাচ্ছে বেগুন-লেবু-শসার দাম

রোজায় চোখ রাঙাচ্ছে বেগুন-লেবু-শসার দাম
রোজায় চোখ রাঙাচ্ছে বেগুন-লেবু-শসার দাম  © সংগৃহীত

রাজধানীর বাজারগুলোতে রমজান উপলক্ষে ইফতারি তৈরির উপাদান বেগুন, শসা, গাজর, লেবু, তরমুজ ও খেজুরের দাম বেড়েছে। এসব পণ্যের দাম সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে বিক্রি হচ্ছে। বেগুন ও শসার কেজিও ৮০ থেকে ১০০ টাকা। বড় লেবুর হালি এখন ৮০ থেকে ৯০ টাকা, ছোট লেবুর হালি ৪০ টাকা। ১২০ টাকা কেজি খোলা চিনি। হিসাবে বড় একটি লেবুর রসের সঙ্গে পরিমাণমতো চিনি মিশিয়ে এক গ্লাস শরবত তৈরিতে ২৫ থেকে ৩০ টাকা খরচ পড়ে যাবে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বড় লেবুর হালিপ্রতি দাম ৮০ থেকে ৯০ টাকা। মাঝারি লেবুর হালি ৫০ থেকে ৬০ টাকা। একদম ছোট লেবু ৪০ টাকা হালি। বাজারের খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, রমজান ঘিরে পাইকারি বাজারে এসব ভোগ্য পণ্যের দাম অনেক বেড়ে গেছে। এ জন্য তাঁদের বাড়তি দামে কিনে আনতে হচ্ছে।

বিশ্বজুড়ে বেড়েছে সিলেটি লেবুর কদর! | Adhunik Krishi Khamar

সবজি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে গতকাল কথা বলে জানা গেছে, মান ভেদে প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৯০ টাকায়, যা গত সপ্তাহ থেকে ১০ টাকা বেশি। বরবটি, পটোল, ঢ্যাঁড়স, ঝিঙে ও ধুন্দুলের দাম প্রতি কেজি ৭০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে। করলার দাম পড়ছে কেজিতে ১০০ থেকে ১২০ টাকা। কাঁচা মরিচের দাম প্রতি কেজি ১১০ থেকে ১২০ টাকা। প্রতিটি ফুলকপি ও বাঁধাকপির দাম রাখা হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। লাউ প্রতিটির দাম পড়ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকার মধ্যে।

দেশি শসা ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজি এবং হাইব্রিড শসার কেজি ৭০ টাকা। গাজর বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি, তরমুজের কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা। মাল্টার কেজি ২২০ থেকে ২৩০ টাকা। সব ধরনের খেজুর কেজিপ্রতি দাম ৫০ থেকে ১০০ টাকা বেড়েছে। টমেটোর দাম বাড়তির দিকে, প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা। খেজুরের কেজি ৬৫০ থেকে ১২০০ টাকা।

এদিকে বাজারে মাছ-মাংসের দাম বেড়েই চলেছে। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম পড়ছে ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা। সোনালি মুরগি ৩৪০ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংসের কেজি এখন ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা। খাসির মাংসের দাম পড়ছে ১ হাজার ৫০ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা। 

প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ২৩০, ডিমের ডজন ১৫০ টাকা

কম দামের মাছ হিসেবে পরিচিত চাষের পাঙাশ ও তেলাপিয়ার দাম প্রতি কেজি ২০০ থেকে ২৫০ টাকা। রুই মাছের দাম এখন ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকার মধ্যে। ফার্মের মুরগির ডিমের ডজন কিছুটা কমে এখন ১২৫ থেকে ১৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া মুদি বাজারে চাল, ডাল, চিনি ও সয়াবিন তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের দাম চড়া। এখন বাজারে মোটা চাল খুচরায় বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫০-৫৫ টাকায়। মাঝারি মানের চালের দাম পড়ছে প্রতি কেজি ৬০-৬২ টাকা। সরু চাল (মিনিকেট ও নাজিরশাইল) কিনতে হচ্ছে ৭০ থেকে ৮৫ টাকার মধ্যে।

পরিসংখ্যান বলছে, গত কয়েকমাসে বর্হিবিশ্বে অস্থিরতা, ডলার সংকট, এলসি খুলতে না পারা, ব্যয়বহুল খাদ্য পরিবহন ব্যবস্থাপনা, বাজার নিয়ন্ত্রণ না করতে পারাসহ বিভিন্ন কারণে দেশের খুচরা বাজারে নিত্যপণ্যের দাম আগের তুলনায় কয়েকগুণ বেড়েছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির ফলে দেশের নিম্ন আয়ের মানুষের উপর এর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। 


সর্বশেষ সংবাদ