মশক নিধনে সপ্তাহব্যাপী ডিএনসিসির বিশেষ অভিযান

মশক নিধনে সপ্তাহব্যাপী ডিএনসিসির বিশেষ অভিযান © টিডিসি ফটো
মশক নিধনে সপ্তাহব্যাপী ডিএনসিসির বিশেষ অভিযান © টিডিসি ফটো  © টিডিসি ফটো

রাজধানীতে মশক নিধনে সপ্তাহব্যাপী বিশেষ অভিযান শুরু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) । রোববার (১৯ মার্চ) সকালে ডিএনসিসির ৪নং ওয়ার্ডের আওতাধীন মিরপুরের বাইশটেকি এলাকায় এই অভিযানের উদ্বোধন করা হয়। অভিযানের উদ্বোধনে অংশ নেন ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান, ৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. জামাল মোস্তফা, অঞ্চল-০২ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউর রহমান।

ডিএনসিসি জানায়, আজ থেকে শুরু হওয়া বিশেষ এই অভিযান চলবে আগামী ২৫ মার্চ পর্যন্ত। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন প্রতিটি অঞ্চলের সকল ওয়ার্ডে এই বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হবে। বিশেষ মশক নিধন কার্যক্রমে ৪০০ X ৪০০ গ্রিড পদ্ধতিতে প্রতি ওয়ার্ডকে ৬ ভাগে ভাগ করে প্রতি এক ভাগে এক দিন নিবিড়ভাবে লার্ভিসাইডিং এবং ফগিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। এ কার্যক্রমে পূর্বে শনাক্তকৃত মশার প্রজননস্থল হিসেবে চিহ্নিত সকল হটস্পটে ব্যাপকভাবে কীটনাশক প্রয়োগ এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে হটস্পট অপসারণ করা হবে।

প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান বলেন, আমরা প্রতিদিন মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছি। এখন বৃষ্টির মৌসুম শুরু হয়েছে। তাই আমাদের রুটিন কাজের পাশাপাশি সপ্তাহব্যাপি বিশেষ মশক নিধন কার্যক্রম শুরু করেছি। এই বিশেষ অভিযানের আরেকটি উদ্দেশ্য হলো জনগণকে এই বিষয়ে সচেতন করা। জনগণকে সচেতন হতে হবে। বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার রাখতে হবে। সিটি কর্পোরেশনের পাশাপাশি জনগণ সচেতন হলে এবং দায়িত্ব পালন করলেই আমরা মশাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো।

এসময় ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. জামাল মোস্তফা বলেন, মিরপুরের বাইশটেকি এলাকায় বেশ কয়েকটি নির্মাণাধীন ভবন পরিদর্শন করলাম। একটি নির্মাণাধীন ভবনে ফাউন্ডেশনের জন্য কয়েকটি গর্ত খুঁড়েছে এবং প্রতিটি গর্তে দীর্ঘদিন পানি জমে থাকায় অসংখ্য লার্ভা পেয়েছি। সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তিনদিন সময় দিয়েছে এগুলো নিয়ম মেনে ব্যবস্থাপনা করার জন্য। ভবন মালিককে হুশিয়ারি দেয়া হয়েছে যেন পানি না জমে।

তিনি আরও বলেন, 'ডিএনসিসির মাননীয় মেয়রের নির্দেশে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। নগরবাসীর প্রতি আহবান নিয়ম মেনে ভবন নির্মাণ করতে হবে। নিয়ম না মেনে ভবন নির্মাণ করে মশার চাষ করবেন সেটি মেনে নেয়া যাবে না। মশা উৎপাদন করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে, জেল-জরিমানা করা হবে। সিটি কর্পোরেশন প্রতিনিয়ত কাজ করছে। নগরবাসীকেও নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করতে হবে।'

উল্লেখ্য, শুষ্ক মৌসুম শুরুর কারণে ইতোমধ্যেই নগরীর বিভিন্ন এলাকায় কিউলেক্স মশার প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। কিউলেক্স মশার প্রকোপ বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে মশক নিয়ন্ত্রণে মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের নির্দেশে ১৯ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত সপ্তাহব্যাপী (শুক্রবার ব্যতীত) ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৫৪টি ওয়ার্ডে একযোগে বিশেষ মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ