এবার প্রেমের টানে জামালপুরের যুবক উড়ে গেলেন ইন্দোনেশিয়ায়

মোহাম্মদ তানজিলুর রহমান অর্ক ও তার স্ত্রী
মোহাম্মদ তানজিলুর রহমান অর্ক ও তার স্ত্রী  © সংগৃহীত

হরহামেশাই শোনা যায় প্রেমের টানে ভিন দেশি তরুণ-তরুণীর বাংলাদেশে ছুটে আসার খবর। তবে তার উল্টো ঘটনা ঘটেছে এবার। প্রেমের টানে বাংলাদেশি যুবক পাড়ি জমিয়েছেন ইন্দোনেশিয়ায়। জামালপুরের এই যুবক সেখানে গিয়ে প্রেমিকা সিতি মারিয়াকে বিয়েও করেছেন ।

ইন্দোনেশিয়ায় পাড়ি জমানো ওই যুবকের নাম মোহাম্মদ তানজিলুর রহমান অর্ক। জামালপুরের বানিয়াবাজার এলাকার বাসিন্দা মো. মিজানুর রহমানের ছেলে তিনি। একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক শেষে ২৫ বছর বয়সী মোহাম্মদ তানজিলুর রহমান অর্ক একটি বেসরকারি আইটি প্রতিষ্ঠানে চিফ অপারেটিং অফিসার পদে চাকরি করছেন।

আরও পড়ুন: ক্ষুদ্র ও কমিউনিটি ব্যবসায় ঝুঁকছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা

এব্যাপারে অর্ক বলেন, ২০১৯ সালে মুসলিমা ডটকম নামের একটি সাইটের মাধ্যমে সিতি মারিয়ার (২৩) সঙ্গে তার পরিচয় হয়। মারিয়া ইন্দোনেশিয়ার বগর জেলার সেলতুন সিটির জাবা প্রবিন্স এলাকার বাসিন্দা। লেখাপড়া শেষ করে মারিয়া সেখানকার তাসকিয়া গ্লোবাল ইসলামিক বিদ্যালয়ে কোরআন হাদিস বিষয়ে শিক্ষকতা করছেন। তিন বোন এক ভাইয়ের মধ্যে মারিয়া সবার বড়। মারিয়ার বাবা ওমর পেশায় একজন ব্যবসায়ী।

পরিচয় হওয়ার পর তাদের নিয়মিত কথা হতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপে। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং তারা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। পরে নানা জটিলতা শেষে গত ১৮ অক্টোবর বিমানযোগে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কিলোমিটার দূরের দেশ ইন্দোনেশিয়ায় পাড়ি জমান অর্ক।

ইন্দোনেশিয়া থেকে অর্ক মোবাইল ফোনে জানান, অনেক আগেই ইন্দোনেশিয়াতে আসার কথা ছিল। কিন্তু করোনা পর অনেকদিন ভিসা বন্ধ ছিল। এখানে এসে আরও অনেক কাগজপত্র ঠিক করতে হয়েছে। এজন্য বিয়ে করতে দেরি হয়েছে। গত ১০ নভেম্বর বিয়ে করেছি। মারিয়াকে বাংলাদেশে নিয়ে যেতে এবং সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য অনেক কাগজপত্রের প্রয়োজন। এসব করতে আরও ৬ মাসের মতো সময় লাগবে। আমরা যেন সুখী হতে পারি এজন্য সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।

বাংলাদেশি ছেলেকে বিয়ে করা সিতি মারিয়া জানান, আগে বাংলাদেশের ছেলেদের সম্পর্কে আমাদের খারাপ ধারণা ছিল। কিন্তু অর্ক আমাদের ধারণে বদলে দিয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ অত্যন্ত মিশুক ও সহজসরল।


সর্বশেষ সংবাদ