উদ্দেশ্য ছাড়াই ফেসবুকে স্ক্রল করতে করতে যেভাবে পিছিয়ে পড়ছি

সানজিদা জাহান শাম্মী
সানজিদা জাহান শাম্মী  © টিডিসি ফটো

একবার ফেসবুকে লগইন করলে দেখা যায় সেকেন্ড থেকে মিনিট, মিনিট থেকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় অপচয় হয়ে যাচ্ছে। কোনো উদ্দেশ্য ছাড়াই আমরা স্ক্রল করতে থাকি। বিভিন্ন ধরনের পোস্ট, মিমস, রিলস এসব দেখতে গিয়ে আমরা আমাদের মূল্যবান সময়টি অপচয় করে ফেলছি।

শুধু তাই নয়, এমন করতে করতে আমরা অনেক কিছু থেকে পিছিয়েও পড়ছি। তাই ফেসবুক ব্যবহার সীমিত করা প্রয়োজন। ফেসবুক বাস্তবতা থেকে আমাদের অনেক দূরে সরিয়ে দিচ্ছে। পরিবারকে সময় দিতে আমরা ব্যর্থ হই।

এসময় পরিবারের কোন সদস্য কোন কথা বললে আমাদের কান অবধি পৌঁছায় না, আর পৌঁছালেও আমরা গুরুত্ব দিই না। আমরা ব্যস্ত হয়ে পড়ি ফেসবুকের রিয়্যাক্ট গুনতে, কমেন্টের রিপ্লাই দিতে, অপ্রয়োজনীয় চ্যাট লিস্টে পড়ে থাকতে।

বাসায় কোনো আত্মীয়স্বজন, মেহমান বেড়াতে আসলেও আমরা ঠিক একই কাজ করি। তাদের থেকে ফেসবুককে বেশি প্রায়োরিটি দিয়ে ফেলি। আশেপাশের কোন বন্ধু-বান্ধবী দেখা করতে চাইলেও আমরা সহজে হ্যাঁ বলি না। বরং মোবাইলটা হাতে নিয়ে বাসায় বসে থাকাই আমাদের কাছে স্বস্তির মনে হয়।

আবার মাথায় কোনো ক্রিয়েটিভ চিন্তাও আসে না। আসলেও সেটা স্থায়ী হচ্ছে না। আর এভাবেই মূলত পরিবার, আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, কর্ম করার ইচ্ছা, যেকোনো উন্নত চিন্তা-ভাবনা থেকে আমরা পিছিয়ে পড়ছি।

আমরা বারবার ভুলে যাই, সুখে-দুঃখে, বিপদে-আপদে আমাদের কাছের মানুষরাই থাকেন। ফেসবুকে রিয়্যাক্ট কমেন্টকারী, অপ্রয়োজনীয় মেসেজকারী কোন ব্যক্তি থাকেন না। তাই ফেসবুকে অযথা সময় অপচয় না করে, ঘণ্টার পর ঘণ্টা স্ক্রল করে পিছিয়ে না পড়ে পাশে থাকা মানুষদের গুরুত্ব দিন।

ফেসবুক কেবল মাত্র প্রয়োজনে লগইন করা যেতে পারে। যেমন, কারো কাছে কোন প্রয়োজনীয় বার্তা পাঠানো, নিজে কিছু পোস্ট করতে চাইলে, বিভিন্ন সংবাদ গণমাধ্যম ও ম্যাগাজিন পড়তে চাইলে বা বিভিন্ন ক্যাটাগরির ফেসবুক গ্রুপ থেকে কমিউনিকেশন করতে চাইলে সেখান থেকে কিছু জানতে ও শিখতে চাইলে ফেসবুক নিঃসন্দেহে সীমিত ব্যবহার করা যেতেই পারে।

লেখক: শিক্ষার্থী, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।


সর্বশেষ সংবাদ