যত ফান্ড লাগে ব্যবস্থা করব, তবু ভালো গবেষণা চাই : বিএসএমএমইউ ভিসি
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৪ মে ২০২৪, ০৪:২৮ PM , আপডেট: ১৪ মে ২০২৪, ০৪:৩১ PM
মানসম্মত গবেষণায় গুরুত্বারোপ করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক বলেছেন, গবেষণার জন্য যত ফান্ড লাগে, আমি ব্যবস্থা করব। তারপরও ভালো গবেষণা আমরা চাই। আমাদের যথেষ্ট ফান্ড আছে। প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে আরও ফান্ডের ব্যবস্থা করব। আপনারা ভালো কাজ করুন, আমি ফান্ড ম্যানেজ করে দেব। মঙ্গলবার (১৪ মে) বিএসএমএমইউয়ের মিল্টন হলে ‘বাংলাদেশি উইলসেন্স রোগীদের মধ্যে জেনেটিক পরিবর্তন এবং এর স্নায়বিক উপসর্গ’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
উপাচার্য বলেন, গবেষণার মান নিয়ে আমরা কোন ছাড় দেব না। শুধু গবেষণা হলেই হবে না, মানসম্মত হতে হবে। এমনকি সেগুলো ল্যানসেটসহ আন্তর্জাতিক গবেষণা পেপারে প্রকাশিত হতে হবে। গবেষণাগুলো যারা রিভিউ করবে, তাদেরও আমরা দেখব। তাদের কয়টা রিভিউ এসেছে, সেটা আমরা জানব।
দীন মো. নূরুল হক বলেন, কিছুদিন আগেই আমি উপাচার্যের দায়িত্ব নিয়েছি। এটাকে আমি পবিত্র দায়িত্ব হিসেবে গ্রহণ করেছি। আমি গবেষণা, শিক্ষা নিয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছি। ইতোমধ্যে একাধিকবার চিকিৎসক-গবেষকদের নিয়ে মিটিং করেছি। তাদের গবেষণা কাজে মনোনিবেশ করতে বলেছি।
উইলসন ডিজিজ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, উইলসন ডিজিজটি মূলত উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত। এটি নির্দিষ্ট জিনের পরিবর্তনের ফলে ঘটে যা একটি প্রোটিন তৈরি করার মাধ্যমে শরীর থেকে অতিরিক্ত তামা অপসারণ করে। এর ফলে শরীরে বিশেষত মস্তিষ্ক, যকৃত এবং চোখে তামা জমা হয়। অতিরিক্ত তামা দ্বারা সৃষ্ট ক্ষতিই উইলসন ডিজিজের উপসর্গগুলো তৈরি করে। পরিবারের একজনের মধ্যে যদি রোগটি শনাক্ত করা যায়, তখন অন্যান্য সদস্যদেরও পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্তের মাধ্যমে রোগ থেকে মুক্তি সম্ভব।
দীন মো. নূরুল হক বলেন, রোগটি অবশ্যই পিতামাতা থেকে আসতে হবে। শুধু একজন থেকে আসলেই হবে না, মায়ের থেকেও আসতে হবে এমনকি বাবার থেকেও আসতে হবে। দুই জিন একত্র হলেই সন্তানের উইলসন ডিজিজ হয়। এজন্য আমাদের অবশ্যই খালাতো, মামাতো এবং ফুফাতো বোনের সঙ্গে বিয়ে বন্ধ করতে হবে। তাহলেই এই রোগে আক্রান্ত কমে আসবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান বিশেষ অতিথি উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. আতিকুর রহমান, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মনিরুজ্জামান, মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. আবু নাসার রিজভীসহ আরও অনেকে।