‘গ্রামের মাদ্রাসাগুলোতে ছেলের তুলনায় মেয়ে শিক্ষার্থী বেশি’
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৫:১২ PM , আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৯:৫৭ PM

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আরবী বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. যবাইর মুহাম্মদ এহসানুল হক বলেছেন, ‘সহশিক্ষা মাদ্রাসার পরিবেশের জন্য মানানসই বা সঙ্গতিপূর্ণ নয়। আমার ছাত্রজীবনে মাদ্রাসায় সহশিক্ষা ছিল না। বালিকা বা মহিলা মাদ্রাসা ব্যতীত অন্য মাদ্রাসাগুলোতে ইবতেদায়ীর ওপরের স্তরে মেয়ে শিক্ষার্থী ছিল না। বর্তমানে অধিকাংশ মাদ্রাসায় সহশিক্ষা চালু আছে। হাতেগোনা কয়েকটি মাদ্রাসা মেয়েদের জন্য পৃথক ভবন বা ক্যাম্পাসের ব্যবস্থা করেছ।’
আজ বুধবার (১৯ মার্চ) বেলা ১১টায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ‘বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষার অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারের দ্বিতীয় সেশনে মাদ্রাসা শিক্ষার সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এক প্রবন্ধে এসব তথ্য তুলে ধরেন তিনি।
প্রবন্ধে সহশিক্ষার বিষয়ে বলা হয়, অধিকাংশ মাদ্রাসার পৃথক ক্লাসের ব্যবস্থা করার সামর্থ নেই। বোর্ড থেকে সেকশনের অনুমতি দেওয়া হয় না। সেকশনের অনুমতির সাথে অতিরিক্ত শিক্ষক নিয়োগের প্রশ্ন জড়িত।
আরো পড়ুন: ‘মাদ্রাসার প্রায় শতভাগ শিক্ষার্থী কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়েও ভর্তি হয়ে থাকে’
উপজেলা বা গ্রামের মাদ্রাসাগুলোতে ছেলের তুলনায় মেয়ে শিক্ষার্থী বেশি, বিশেষত ওপরের স্তরগুলোতে। কারণ ছেলেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য শহরে চলে যায়। অনেক অভিভাবক মেয়েদেরকে দূরে পাঠাতে চায় না। ফলে তারা মফস্বল শহরে রয়ে যায়।
প্রবন্ধে আরো বলা হয়, মেয়েদের জন্য পৃথক মাদ্রাসা স্থাপন বা পৃথক সেকশন প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই। কোন মাদ্রাসায় মেয়ে শিক্ষার্থী অধিক হলে সেটি মহিলা মাদ্রাসা হয়ে যায়, সেক্ষেত্রে ছেলেদের জন্য পৃথক মাদ্রাসা বা সেকশন চালু করতে হবে।
সেমিনারের দ্বিতীয় সেশনে সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শামছুল আলম। এ ছাড়াও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও মাদ্রাসার প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।