রাবিপ্রবির ফিসারিশ বিভাগে কেন পড়বেন, ক্যারিয়ার কোথায়

অধ্যাপক ড. কাঞ্চন চাকমা
অধ্যাপক ড. কাঞ্চন চাকমা  © টিডিসি ছবি

চালু হওয়ার মাত্র দুই বছরের মধ্যে রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবিপ্রবি) মেরিন ফিসারিশ এন্ড রিসার্স বিভাগ আলোড়ন সৃষ্টি করছে। কাপ্তায় লেকের ধার ঘেষে গড়ে ওঠা এই বিভাগ ভবিষ্যতে মৎসখাতে নতুন নতুন সৃজনশীল সৃষ্টি, বিলুপ্ত প্রজাতির মাছ উদ্ধার ও নানা গবেষণায় বিভিন্ন ভূমিকা রাখবে। সেসব ভবিষৎ গবেষণা বর্তমান চিন্তুা ও উন্নতির নানান দিক নিয়ে কথা বলেছেন রাবিপ্রবির উপ-উপচার্য ও মেরিন ফিসারিশ এন্ড রিসার্স বিভাগের অধ্যাপক ড. কাঞ্চন চাকমা। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রাবিপ্রবি প্রতিনিধি আহ্সান হাবীব-

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: রাবিপ্রবির ফিসারিশ বিভাগ কি অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আলাদা? আলাদার কারণ কি?
ড. কাঞ্চন চাকমা: রাবিপ্রবির ফিসারিশ বিভাগ গড়ে উঠেছে কাপ্তাই লেকের পাড় ঘেষে। আসলে কাপ্তাই লেকের কথা চিন্তা করেই এই বিভাগ গড়ে তোলা হয়েছে। কারণ কাপ্তাই লেকে গবেষণার জন্য রয়েছে অপার সুযোগ। এটাই অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে আমাদের পার্থক্য গড়ে দেয়। তবে ফিসারিশ বিভাগ নতুন হওয়া ও বাজেট কম থাকার কারণে গবেষণার কাজ খুব বেশি এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। প্রকৃত সুযোগ সুবিধা পেলে রাবিপ্রবির এই বিভাগ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিসারিশ বিভাগের চেয়ে এগিয়ে থাকবে।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: গবেষণায় কতটুকু এগিয়ে গেলো ফিসারিশ বিভাগ?
ড. কাঞ্চন চাকমা: সংকট মোকাবেলায় ইতিমধ্যে গবেষণার জন্য আমরা বেশ কিছু যন্ত্রাংশ কিনেছি। আরো বেশ কিছু যন্ত্রাংশের প্রয়োজন। তবে সম্মিলিত গবেষণা ভিত্তিক চুক্তিতে আমরা জাপান, মালোয়শিয়াসহ আরো বেশ কিছু দেশের সাথে কাজ করতে যাচ্ছি। আশা করি এর ফলে এই বিভাগ অনেকটায় এগিয়ে যাবো।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: মাছে ভাতে বাঙ্গালি, ভাত থাকলেও মাছের প্রজাতি হারাচ্ছে। করণীয় কি?
ড. কাঞ্চন চাকমা: দূষণ মূল সমস্যা। তবে মাইক্রো প্লাস্টিক, ময়লা আর্বজনা ও নদী শাসনের কারণে আমাদের দেশীয় অনেক মাছ হারিয়ে যাচ্ছে। এগুলো দেশীয় জাত বাঁচানো জন্য আরো গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস:  শিক্ষক সংকট মোকাবেলায় করণীয় কি?
ড. কাঞ্চন চাকমা: শিক্ষক সংকটে আছে ফিসারিশ বিভাগে। তবে আমরা গেস্ট টিচার্স দিয়ে তা পোষাণোর চেষ্টা করে যাচ্ছি। আসলে দূরত্ব, আধুনিক সুযোগ সুবিধা না থাকার কারণে শিক্ষকবৃন্দ এখানে আসার আগ্রহ প্রকাশ করেন না। তবে আমরা দ্রুত শিক্ষক নিয়োগের কাজটি সম্পন্ন করতে চাই।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: ফিসারিশ বিভাগে পড়ে শিক্ষার্থীদের চাকুরি ও অন্যান্য সুবিধা কেমন?
ড. কাঞ্চন চাকমা: প্রথমত তারা সকল সরকারি চাকরিতে যেতে পাড়বে। কেননা ফিসারিশ বিভাগের জন্য অনেক জায়গায় স্পেশাল কোটাও রয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও এর অধীন বিভিন্ন সংস্থা বা অফিসে ফিশারিজ গ্র্যাজুয়েটদের কাজ করার সুযোগ রয়েছে। দেশের বিভিন্ন এনজিওর নানা ধরনের আত্মনির্ভরশীল উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের অন্যতম একটি হচ্ছে ফিশারিজ খাত। যেমন বিভিন্ন মাছের একক ও মিশ্র চাষ, নার্সারি ব্যবস্থাপনা, হাওরে মৎস্য ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়ন ইত্যাদি। যথাযোগ্য নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দিতে পারেন। এছাড়া বিসিএসের মাধ্যমে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা হিসেবে পদায়ন হতে পারে। মৎস্য অধিদপ্তর কর্তৃক সম্প্রসারণ কর্মকর্তা হিসেবেও কাজ করতে পারেন।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: আপনাকে ধন্যবাদ।
ড. কাঞ্চন চাকমা: দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের জন্য শুভ কামনা। ধন্যবাদ।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence