১৩৩ বছর পর দেশে প্রজাপতি বাদুড়ের সন্ধান পেলেন জাবি অধ্যাপক

‘পেইন্টেড ব্যাট’ বা প্রজাপতি বাদুড়
‘পেইন্টেড ব্যাট’ বা প্রজাপতি বাদুড়  © ছবি : সংগৃহীত

প্রাণিটি বাদুর অথচ গায়ের রঙ ও ওড়ার ধরন অনেকটা প্রজাপতির মত। সমজাতীয় অন্যান্য স্তন্যপায়ীর চেয়ে আকারে ছোট। ইংরেজি নাম ‘পেইন্টেড ব্যাট’ হলেও ‘বাটারফ্লাই ব্যাট’ নামেও পরিচিত। প্রচলিত বাংলা নাম নেই। তাই বাংলাদেশে ১৩৩ বছর পর খুঁজে পাওয়া এই বাদুড়টিকে প্রজাপতি বাদুড় নামে দিয়েছেন প্রাণিবিজ্ঞানীরা। আর বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর ‘পেইন্টেড ব্যাট’ বা প্রজাপতি বাদুড়ের সন্ধান পেয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ মনিরুল হাসান খান।

তিনি গত ৭ জুন টাঙ্গাইলের মধুপুর জাতীয় উদ্যানের একটি কলাগাছের পাতায় এটির সন্ধান পান।

প্রাণিবিজ্ঞানীরা বলছেন, ভারতের কয়েকটি রাজ্য ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে এখনো প্রজাপতি বাদুড় দেখা যায়। তবে বাংলাদেশ থেকে এটি বিলুপ্ত হয়ে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছিল। ১৮৮৮ সালে প্রকাশিত যুক্তরাজ্যের প্রাণিবিজ্ঞানী ডব্লিউ টি ব্লেনফোডের ‘ফনা ইন ব্রিটিশ ইন্ডিয়া’ নামক গ্রন্থে বাদুড়ের এই প্রজাতি ঢাকায় দেখা গেছে বলে উল্লেখ আছে। এরপর অনেকে বাদুড়টিকে খুঁজেছেন কিন্তু পাননি। এ ছাড়া বিশ্বের বন্যপ্রাণি বিষয়ক সংস্থাগুলোর প্রতিবেদনে এটি বাংলাদেশে আর টিকে নেই বলেই উল্লেখ করা হয়।

অধ্যাপক মোহাম্মদ মনিরুল হাসান খান বলেন, যেহেতু মধুপুর বনে এই বাদুড়ের দেখা পেয়েছি, সেহেতু অন্য বনেও এরা থাকতে পারে। বাদুড় একটি উপকারী প্রাণি। আর এই প্রজাতির বাদুড় ক্ষতিকর অনেক পোকা খেয়ে মানুষের উপকার করে। তাই এই বাদুড় দেখলে ধরা বা মারার চেষ্টা করা ঠিক নয়।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে নানা প্রজাতির বাদুড় রয়েছে। প্রজাপতি বাদুড় সাধারণত তিন থেকে চার সেন্টিমিটার এবং ওজন চার গ্রামের মতো হয়ে থাকে। কমলা, লাল, হলুদ ও কালো রঙের মিশ্রণে এদের আকৃতি উজ্জ্বল বর্ণ ধারণ করে।

বন্যপ্রাণি বিশেষজ্ঞ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মো. কামরুল হাসান বলেন, অন্যান্য বাদুড়ের তুলনায় এ প্রজাতির বাদুড় কিছুটা ধীরে চলে। এরা দিনের বেলা কম বের হয়। রাতে বের হয়ে বিভিন্ন ধরনের পোকামাকড় খেয়ে থাকে। কোনো শব্দ, বাতাস বা অন্য প্রাণির আক্রমণ হলেও এরা নড়াচড়া করে না। দেখতে উজ্জ্বল রঙের হওয়ায় শিকারি প্রাণিরা এদের সহজেই দেখতে পায়। আর এসব শিকারি প্রাণি বাদুড়ের এ প্রজাতিকে খেয়ে ফেলে। তাই এ প্রজাতির সংখ্যা পৃথিবীতে দ্রুত কমে আসছে। এরা বছরে একটি বাচ্চা দেয়।

 


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence