বৈজ্ঞানিক প্রকাশনায় এবারও দেশসেরা ঢাবি, শীর্ষ দশে রয়েছে যারা

তালিকায় শীর্ষ ১৫ প্রতিষ্ঠান
তালিকায় শীর্ষ ১৫ প্রতিষ্ঠান  © টিডিসি সম্পাদিত

২০২৪ সালে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে থেকে ১৫ হাজার ৪১৩টি বৈজ্ঞানিক নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। নিবন্ধ প্রকাশের সংখ্যায় এবারও শীর্ষে রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)। আর দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ডিআইইউ)।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ‘স্কোপাস ডাটাবেইজ’ এর বিভিন্ন উপাত্ত বিশ্লেষণ করে সম্প্রতি এ তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের গবেষণা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণকারী ম্যাগাজিন ‘সায়েন্টিফিক বাংলাদেশ’। এবার শীর্ষ দশে দেশের তিনটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থান করে নিয়েছে।

স্কোপাসের তথ্যানুযায়ী, ২০২৪ সালে ১ হাজার ৫০০টি প্রকাশনা নিয়ে দেশে গবেষণায় শীর্ষ অবস্থান ধরে রেখেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)। আগের বছর এই সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৪১০টি। ১ হাজার ১০০-র বেশি প্রকাশনা নিয়ে এ তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ডিআইইউ)। আগের বছর ড্যাফোডিলের এই সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৮০টি।

প্রায় ৯০০ প্রকাশনা নিয়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) আছে তৃতীয় স্থানে। চতুর্থ অবস্থানে আছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি)।

বৈজ্ঞানিক প্রকাশনার র‍্যাঙ্কিংয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি পঞ্চম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) ষষ্ঠ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) সপ্তম, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি অষ্টম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) নবম ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুবি) দশম অবস্থানে আছে।

২০২৪ সালে বাংলাদেশি গবেষকদের প্রকাশনার প্রধান বিষয়গুলো ছিল প্রকৌশল, কম্পিউটার বিজ্ঞান, চিকিৎসাবিজ্ঞান, পরিবেশ বিজ্ঞান ও সমাজবিজ্ঞান।

প্রতিবেদনটিতে প্রবন্ধের পাশাপাশি কনফারেন্স পেপার, রিভিউ, বইয়ের অধ্যায়, চিঠি, ভুল সংশোধনী, নোট, সম্পাদকীয়, ডেটা পেপার, বই, সংক্ষিপ্ত সমীক্ষাসহ বিভিন্ন ধরনের গবেষণা নথি স্থান পেয়েছে।

তবে ২০২৪ সালে কোনো পেটেন্ট নিবন্ধিত হয়নি। এছাড়া গত বছর প্রথমবারের মতো টেক্সটাইল গবেষণায় প্রকাশনা দেখা গেছে। 

বাংলাদেশি গবেষকদের প্রবন্ধ প্রকাশ করা শীর্ষ জার্নালগুলো হলো- হেলিয়ন, প্লস ওয়ান, সায়েন্টিফিক রিপোর্টস, আইইইই অ্যাকসেস, হেলথ সায়েন্স রিপোর্টস, সাসটেইনেবিলিটি সুইজারল্যান্ড, আরএসসি অ্যাডভান্সেস, এনভায়রেনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড পলিউশন রিসার্চ।

স্কোপাস ডেটাবেজ অনুসারে, ২০২৪ সালে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রংপুরের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষক আবু রেজা মো. তৌফিকুল ইসলাম ১০৬টি নিবন্ধ প্রকাশ করে শীর্ষস্থান অর্জন করেছেন। দ্বিতীয় স্থানে আছেন বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের এম খালিদ হোসেন এবং তৃতীয় স্থানে আছেন বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট, দিনাজপুর-এর আকবর হোসেন।

উল্লেখ্য, ২০১২ সাল থেকে স্কোপাস ডাটাবেইজের সহায়তায় বাংলাদেশের গবেষণা পরিস্থিতির তালিকা প্রকাশ করে আসছে ‘সায়েন্টিফিক বাংলাদেশ’। প্রতিবছর জানুয়ারির শুরু দিকে এই তালিকা প্রকাশ করা হয়।


সর্বশেষ সংবাদ