দেবিদ্বারে ডাকাতির পর হত্যার হুমকি, আতঙ্কে পরিবার

ডাকাতির পর বাড়িটির ভেতরের অবস্থা
ডাকাতির পর বাড়িটির ভেতরের অবস্থা  © টিডিসি ফটো

কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার ১ নং বড়শালঘর ইউনিয়নের ছোটশালঘর গ্রামের গাজী খলিলুর রহমানের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এসময় ডাকাতরা নগদ অর্থ, মোবাইল, সোনা ও রুপার গহনাসহ বাড়ির মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে। গত ১৪ ডিসেম্বর এ ঘটনা ঘটে। ডাকাতির পর আইনের আশ্রয় নিলে গলা কেটে হত্যা করবে বলে হুমকি দিয়ে যায়। এই ঘটনার পর আতঙ্কে বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে পরিবারের সদস্যরা। 

জানা যায়, গত রবিবার রাত আনুমানিক ৩ ঘটিকায় মুখোশ পরিহিত ১০-১২ জন ডাকাত বন্দুক ও দেশীয় অস্ত্রসহ বাড়ির দরজা ভেঙে বাড়িতে প্রবেশ করে। এরপর প্রথমে বাড়ির গৃহকর্ত্রী রাশেদা বেগমের হাত পা বেঁধে ফেলে। পরে বাড়ির গৃহকর্তা খলিলুর রহমান ও তার ছোট ছেলে গাজী আশরাফুলকেও একইভাবে বেঁধে ফেলে। এরপর বাড়ির আলমারি, শোকেস ও কাঁচের জিনিসপত্র ভাংচুর করে। এসময় তারা নগদ এক লাখ টাকা, ২টি স্মার্টফোন, ২ ভরি সোনা ও ৬ ভরি রূপার গহনাসহ আরও ২০ হাজার টাকা সমমূল্যের জিনিসপত্র নিয়ে যায়। ডাকাতির ঘটনা কাউকে জানালে গলা কেটে হত্যার হুমকি দেয় ডাকাতদল ও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে। এ ঘটনার পর নিজগৃহ ছেড়ে বড় ভাইয়ের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন খলিলুর রহমান। 

আরও পড়ুন: ৫ যমজ, সবাই ছাত্রী— একসঙ্গে সত্যি হলো দশ স্বপ্ন

রাশেদা বেগম বলেন, সবকিছু নেওয়ার পরেও আরো টাকার জন্য আমার গলায় ধারালো রামদা ঠেকিয়ে হুমকি দেয় এবং আমার উপর আঘাত করে, অত্যাচার করে। আবার হুমকি দিয়েছে যে আমরা যদি মামলা করি, মানুষকে জানাই তাহলে সবাইকে মেরে ফেলবে। তারা আমাদেরকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে। আমাদের এক প্রতিবেশী এখানে জড়িত আছে বলে ডাকাতদল জানিয়ে যায়। আমরা জিডি করেছি এখন আমরা বাকিটা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে বিচার চাই। 

বড় ছেলে গাজী ইমরান বলেন, এই যুগেও ডাকাতি হতে পারে এটা ভাবতে কষ্ট হয়। ডাকাতরা আমার বাবা,মা ভাইকে বেঁধে ডাকাতি করেছে, ভাংচুর করেছে হত্যার হুমকি দিয়েছে। আমরা এর বিচার চাই। আমার পরিবারের সদস্যদের জীবনের নিরাপত্তা চাই। আমি গত দেড় বছর ধরে জাপানে আছি। পরিবারের এই বিপদের মূহুর্তে তাদের পাশে দাঁড়াতে পারছি না। গ্রামের মানুষদের বলছি দয়া করে আমাদের পরিবারের পাশে দাঁড়ান। 

এ ঘটনায় দেবিদ্বার থানায় একটা অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার। 

থানার ওসি গোলাম সারওয়ার বলেন, পরিবার একটি লিখিত অভিযোগ জানিয়েছে। আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি। 

ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আলম হাজারী বলেন, আমি বিষয়টি জানার পরেই সেখানে গিয়েছি। তদন্ত করে যারা এই কাজ করেছে তাদের ধরার চেষ্টা করতেছি। যেসব মালামাল চুরি হয়েছে সেগুলো আশেপাশের বাজারে কোথাও বিক্রি হচ্ছে কিনা খবর রাখতেছি। 

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাকিবুল ইসলাম বলেন, এটাতো থানার বিষয় । আপনারা ওসির সাথে কথা বলেন। ওসি যদি ব্যবস্থা না নেয় তাহলে আমাকে জানাইয়েন আমি কথা বলবো।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence