বিএসএমএমইউতে মাঙ্কিপক্স শনাক্তের তথ্যটি গুজব

বিএসএমএমইউতে মাঙ্কিপক্স শনাক্তের তথ্যটি গুজব
বিএসএমএমইউতে মাঙ্কিপক্স শনাক্তের তথ্যটি গুজব  © ফাইল ছবি

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) মাঙ্কিপক্স রোগী শনাক্ত হয়েছে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি তথ্য ছড়িয়ে পড়েছে। মূলত তথ্যটি ডা. আসিফ ওয়াহিদ নামের এক চিকিৎসককে কার্টেসি হিসেবে উল্লেখ করে প্রচার করা হচ্ছে। তবে এ তথ্যটি গুজব বলে তিনি নিজেই নিশ্চিত করেছেন।

ডা. আসিফ নোয়াখালী জেলার সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সহকারী সার্জন। তিনি এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে বিষয়টি পরিষ্কার করে লিখেছেন, ‘‘আমার নামে মাঙ্কিপক্স নিয়ে যে পোস্ট ফেসবুকে লিখা হচ্ছে তা আমার আইডি থেকে দেয়া না। এই ঘটনার সাথে আমার কোন সম্পৃক্ততা নাই।’’

এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই ডা. আসিফের নামে করার পোস্ট ভাইরাল হয়ে পড়ে। অনেক ডাক্তারও এ তথ্যটি শেয়ার করেছেন। ডা. মো. হারুন অর রশীদ নামে একজনে এ তথ্যটি শেয়ার করে তার বন্ধুদের মাঙ্কিপক্স সম্পর্কে সতর্ক করেছেন।

তৌফিক আহম্মেদ নামে একজনের এ তথ্যটি শেয়ার করে লিখেছেন, আজকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশের প্রথম মাঙ্কিপক্স আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। সবাইকে এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। তৌফিক পোস্টটি ডা. আসিফ ওয়াহিদের সৌজন্যে দিয়েছেন বলে শেষে উল্লেখ করেছেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ও তথ্যটি গুজব বলেই নিশ্চিত করেছে। বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কোনো একটি পক্ষ এমন গুজব ছড়িয়েছে।

আরও পড়ুন: মাঙ্কিপক্স রোধে দেশের সব বন্দরে সতর্কতা

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো মাঙ্কিপক্স রোগী পাওয়া যায়নি। কে বা কারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই গুজব ছড়িয়েছে। মাঙ্কিপক্স রোগ নিয়ে এত দুশ্চিন্তা করার কিছু নেই। আমরা আগামী বৃহস্পতিবার মাঙ্কিপক্স নিয়ে সেমিনার করব, সেখানে এই রোগ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

মানবদেহের স্মলপক্সের মতোই মাঙ্কিপক্স। ১৯৮০ সালে রোগটি নির্মূল করা হয়েছিল। রোগটি চিকেনপক্স মনে করেও বিভ্রান্ত হওয়ার শঙ্কা আছে। মাঙ্কিপক্সের প্রাথমিক উপসর্গ হলো—জ্বর, মাথাব্যথা, পেশিব্যথা, পিঠব্যথা, নাসিকাগ্রন্থি ফুলে যাওয়া ও পরিশ্রান্তবোধ।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত বিশ্বের ১১টি দেশে ৮০ জন মাঙ্কিপক্স রোগী শনাক্ত হয়েছে। কোনো দেশের নাম উল্লেখ না করে ডব্লিউএইচও জানায়, সন্দেহভাজন আরও ৫০ জনের বিষয়ে পর্যালোচনা চলছে। সম্প্রতি ইতালি, সুইডেন, স্পেন, পর্তুগাল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং যুক্তরাজ্যে এ ভাইরাসে সংক্রমণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছিল।


সর্বশেষ সংবাদ