নিউইয়র্ক এয়ারপোর্টে ভারতীয় ব্যক্তির প্রকাশ্যে মলত্যাগের দাবি সত্য নয়
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:৪৮ AM , আপডেট: ০৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:৪৮ AM
সম্প্রতি নিউইয়র্কে এক ভারতীয় ব্যক্তি প্রকাশ্যে মলত্যাগ করেছেন দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
তবে এয়ারপোর্টে ভারতীয় নাগরিকের প্রকাশ্যে মলত্যাগের ঘটনাটি সত্য নয় বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ফ্যাক্ট চেকিং প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানার।
সংস্থাটির টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, এই দাবির সঙ্গে প্রচারিত ভিডিওটি স্ক্রিপ্টেড। ভিডিওটি প্রিন্সজি নামে পরিচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর জিশান সোরায়া তৈরি করেছেন। তিনি পাকিস্তান বংশোদ্ভূত আমেরিকান নাগরিক।
এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ভিডিওতে @princezee শীর্ষক একটি জলছাপ লক্ষ করা যায়। ওই সূত্র ধরে কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে Princezee নামের একটি ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্টে ২০১৯ সালের ২২ আগস্ট প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। ওই ভিডিওটির সঙ্গে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির মিল দেখা যায়।
ওই পোস্টটির ক্যাপশন থেকে জানা যায়, তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে প্রকাশ্যে মলত্যাগ করা যেমন একটি সাধারণ বিষয় এবং এটি কাউকে অবাক করে না। একই চর্চার প্রতি নিউইয়র্ক শহরের মানুষের প্রতিক্রিয়া যাচাই করতে তিনি পরীক্ষামূলক কাজটি করেন।
Princezee নামের ওই ব্যক্তির বিষয়ে অনুসন্ধানে ‘Its Yaboymike’ নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে ‘Prince Zee | Made In New York Podcast’ শিরোনামের একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। ভিডিওতে Princezee এর সাক্ষাৎকার থেকে জানা যায়, তার নাম জিশান সোরায়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের কুইন্স কাউন্টিতে তার জন্ম ও বেড়ে ওঠা। অর্থাৎ তিনি আমেরিকান; ভারতীয় নন।
এ ছাড়া স্পোর্টসকিডা উইকি থেকে জানা যায়, প্রিন্সজি নামে পরিচিত জিশান সোরায়া একজন জনপ্রিয় টিকটক কমেডিয়ান এবং কন্টেন্ট ক্রিয়েটর। তিনি নিউইয়র্ক সিটির রাস্তায় মজার ভিডিও তৈরি করেন। তার বাবার জন্মভূমি পাকিস্তান।
এ ছাড়া Princezee-এর ইউটিউব চ্যানেলে ২০১৮ সালে প্রকাশিত ‘Meeting my family for the first time in Pakistan’ শিরোনামের একটি ভিডিও পাওয়া যায়। ভিডিওতে তিনি পাকিস্তানে তার পরিবারের কয়েকজন সদস্যের সঙ্গে সাক্ষাতের মুহূর্তগুলো তুলে ধরেন।
আলোচিত ভিডিওটি ধারণের স্থান সম্পর্কে অনুসন্ধানে, Princezee-এর ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত নিউইয়র্ক সাবওয়েতে ধারণকৃত একটি ভিডিওর পারিপার্শ্বিকতা আলোচিত ভিডিওটির সঙ্গে উল্লেখযোগ্যভাবে মিল দেখা যায়। এতে নিশ্চিত হওয়া যায় যে ভিডিওটি নিউইয়র্ক এয়ারপোর্টে নয়, বরং সাবওয়েতে ধারণ করা হয়েছে।
সুতরাং একজন আমেরিকান কনটেন্ট ক্রিয়েটরের নিউইয়র্ক সাবওয়েতে প্রকাশ্যে মলত্যাগের স্ক্রিপ্টেড ভিডিও নিউইয়র্ক এয়ারপোর্টে ভারতীয় ব্যক্তির প্রকাশ্যে মলত্যাগ দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে; যা মিথ্যা।