কী লেখা ছিল সালমান শাহ’র সেই সুইসাইড নোটে

সালমান শাহ ও সুইসাইড নোট
সালমান শাহ ও সুইসাইড নোট  © টিডিসি ফটো

বাংলা চলচ্চিত্রের রাজপুত্র, স্টাইল আইকন সালমান শাহ চলে যাওয়ার ২৬ বছর হয়ে গেলো। অল্প সময়ের ক্যারিয়ারে তিনি নিজের প্রতিভার এতখানি বিস্তৃতি ঘটিয়েছিলেন যে, তার মৃত্যুর ২৬ বছর পরেও ভক্তদের মনে সমান উন্মাদনা কাজ করে। ১৯৯৬ সালে মাত্র ২৪ বছর বয়সে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান এই নায়ক।

আজ (৬ সেপ্টেম্বর) বাংলা চলচ্চিত্রের এই অমর নায়কের ২৬তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৯৬ সালের এই দিনে অসংখ্য ভক্তকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে যান তিনি। মাত্র তিন বছরের ক্যারিয়ারে ২৭টি সিনেমা উপহার দিয়েছিলেন। হয়ে উঠেছিলেন তরুণ প্রজন্মের স্টাইল আইকন।

মৃত্যুর এত বছর পেরিয়ে গেলেও সালমান শাহ খুন হয়েছেন নাকি আত্মাহত্যা করেছেন, এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর জানা যায়নি! গত ২৬ বছর ধরে চলছে তার হত্যা মামলার তদন্ত। পিবিআইয়ের সর্বশেষ প্রতিবেদনে দাবি করা হয় সালমান শাহ আত্মাহত্যা করেছেন। সালমান শাহ’র মা নীলা চৌধুরী এই তদন্ত প্রতিবেদন মানতে নারাজ। তিনি শুরু থেকেই বলে এসেছেন তার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: অমর নায়ক সালমান শাহ’র চলে যাওয়ার ২৬ বছর আজ

তবে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সালমান শাহ আত্মহত্যা করেছিলেন। এর পেছনে ৫টি কারণও উল্লেখ করেছেন তদন্ত কর্তারা। এগুলো হলো-

১. চিত্রনায়িকা শাবনূরের সঙ্গে তার অতিরিক্ত অন্তরঙ্গতা।
২. স্ত্রী সামিরার সঙ্গে দাম্পত্য কলহ।
৩. বেশি আবেগপ্রবণ হওয়ার কারণে একাধিকবার আত্মহত্যার চেষ্টা।
৪. মায়ের প্রতি অসীম ভালোবাসা, যা জটিল সম্পর্কের বেড়াজাল তৈরি করে অভিমানে রূপ নেয়।
৫. সন্তান না হওয়ায় দাম্পত্য জীবনে অপূর্ণতা।

১৯৯৬ সালের আজকের দিনে (৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ইস্কাটনের বাসা থেকে সালমান শাহর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতে তখন তার জনপ্রিয়তা ছিল তুঙ্গে। সে সময় সালমানের বাসা থেকে একটি সুইসাইড নোট পায় পুলিশ।

যা লেখা ছিল সুইসাইড নোটে-
আমি চৌঃ মোঃ শাহরিয়ার। পিতা কমরূদ্দীন আহমেহ চৌধুরী। ১৪৬/৫ গ্রীনরোড ঢাকা#১২১৫ ওরফে শালমান শাহ। এই মর্মে অঙ্গিকার করছি যে, আজ অথবা আজকের পর যে কোন দিন আমার মৃত্যু হলে তার জন্য কেউ দায়ী থাকবে না। স্বেচ্ছায়-স্বজ্ঞানে-সুস্থ মস্তিস্কে আমি আত্মহত্যা করছি।


সর্বশেষ সংবাদ