নিপুণের বিরুদ্ধে জায়েদ খানের মামলা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৩:৪২ PM , আপডেট: ০৮ মার্চ ২০২২, ০৬:৪০ PM
আদালতের নির্দেশ অমান্য করে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে বসার অভিযোগে অভিনেত্রী নিপুণ আক্তারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করেছেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান। বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) জায়েদ খানের অন্যতম আইনজীবী আহসানুল করিম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আইনজীবী বলেন, আপিল বিভাগরর নিষেধাজ্ঞার পরও নিপুণ আক্তার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিয়ে চেয়ারে বসছেন এবং কার্যক্রম চালাচ্ছেন। যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এ কারণে নিপুণ আক্তারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন জানানো হয়েছে। আগামী সপ্তাহে আবেদনটির বিষয়ে শুনানি হতে পারে।
এদিকে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির (বিএফডিসি) সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে চিত্রনায়ক জায়েদ খান ও নায়িকা নিপুণ আক্তারের দ্বন্দ্বে হাইকোর্টের জারি করা রুলের ওপর শুনানি আবারো পিছিয়েছে। শুনানির জন্য আগামী সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দিন ঠিক করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ ভার্চুয়াল শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: শিক্ষকের যৌন হয়রানির বিচার চেয়ে একাই দাঁড়ালেন জবি ছাত্রী
এদিন আদালতে নিপুণের পক্ষে ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ ও ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান। জায়েদ খানের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ন, আহসানুল করিম ও নাহিদ সুলতানা যুথি।
এর আগে বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) জায়েদের পক্ষে আংশিক শুনানি হলেও পরবর্তী শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু আজ শুনানি হয়নি। পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি দুপুর ২টায় নির্ধারণ করেছেন হাইকোর্ট।
জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ হবে না, এ মর্মে জারি করা রুলের প্রথম দিনের (বুধবার) শুনানি শেষে পরবর্তী শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য করেছিলেন আদালত। তারও আগে গত মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের একই বেঞ্চে রুলের ওপর শুনানি করতে গেলে এ বিষয়ে শুনানির জন্য বুধবার দিন ঠিক করেছিলেন আদালত। আজ ফের রুল শুনানি পেছানো হলো।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে হাইকোর্টের আদেশের ওপর চেম্বার আদালতের স্থগিতাদেশ এবং স্থিতাবস্থা বহাল রাখেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে এ বিষয়টি হাইকোর্টে রুল শুনানিসহ নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন সর্বোচ্চ আদালত।