হাবিপ্রবিতে লিফটে আটকা পড়েন শিক্ষার্থীরা, চাবি দিয়েও খোলা যায়নি

হাবিপ্রবিতে লিফট আতঙ্ক
হাবিপ্রবিতে লিফট আতঙ্ক  © সংগৃহীত

দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের মাঝে লিফট নিয়ে আতঙ্ক বাড়ছে। এই লিফটে আসা-যাওয়া করতে গিয়ে আটজন শিক্ষার্থী ভেতর আটকা পড়েন বলে জানা গেছে। তারাই এই অবস্থায় ১৫ থেকে ২০ মিনিট থেকেছেন।  

এমন একটি ঘটনা ঘটেছে রোববার (২৯ মে) বিকেল ৪টার দিকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. এম এ ওয়াজেদ ভবনের দুটি লিফট হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়।

ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, স্ক্রিনে থার্ড ফ্লোর লেখা উঠে আছে। তবে থার্ড ফ্লোরের গেটে তাদের পাওয়া যাচ্ছিলো না। লিফট দুটি গেটের কাছে না আটকে দুই ফ্লোরের মাঝামাঝিতে আটকে যায়। ফলে চাবি দিয়ে বাইরে থেকে প্রতিটি ফ্লোরে গিয়ে লিফট খোলা হলেও তারা বের হতে পারছিলেন না। এতে বাইরে বা ভেতর থেকে তাদের আটকে পড়ার সুনির্দিষ্ট ফ্লোর নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছিলো না।

লিফটে আটকে পড়াদের একজন ১৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মাহফুজা পারভিন বলেন, ক্লাস শেষে ওয়াজেদ ভবনের ৫ম তলা থেকে নিচতলায় নামার জন্য লিফটে উঠি। দুজন ছিলাম। লিফট ৫ম তলা ও ৪র্থ তলার মাঝামাঝি এসে আটকে যায়। এরপর লিফট আর কোনো কমান্ড নিচ্ছিলো না। সেসময় আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ি এবং ভয় হচ্ছিলো লিফট ছিঁড়ে নিচতলায় পড়ে যাই কি না। আমরা লিফটে থাকা হেল্প বাটনে ক্লিক করলে বাইরে এলার্ম বেজে উঠে।

ভেতরে আটকে পরা আরেকজন ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী আতিক তার বন্ধুদের লিফটে আটকে পরার বিষয়টি জানান। তারা বিভাগের স্টাফ আমিনুল ইসলামকে জানালে ভবনের গার্ড থেকে লিফটের চাবি এনে লিফট খোলার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু লিফট মাঝামাঝিতে আটকে যাওয়ায় তাদের বের করা সম্ভব হচ্ছিলো না। এসময় ইইই বিভাগের শিক্ষক মিজানুর রহমান ঘটনাস্থলে এসে প্রক্টরকে ফোন দেন। খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণমাধ্যম কর্মী, নিরাপত্তা অফিসার এবং প্রক্টর ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।

উপস্থিত শিক্ষার্থীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের লিফট সিস্টেম দুর্বল হয়ে পড়ায় এক প্রকার আতঙ্ক নিয়েই লিফটে উঠেন তারা। মাঝেমধ্যেই শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা লিফটে নানাবিধ সমস্যায় পড়েন বলেও অভিযোগ করেন অনেকে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. মামুনুর রশীদ বলেন, ঘটনাটি দুঃখজনক। লিফট সিস্টেম হ্যাং হওয়ার কারণে সাময়িক সময়ের জন্য লিফট দুটি বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো। রিস্টার্ট দেয়ার মাধ্যমে পুনরায় লিফট দুটি কাজ করতে শুরু করে এবং যারা আটকে পড়েছে তারা সুস্থভাবে বের হয়ে আসে। 

লিফট বিষয়ে নানান সময়ে বিভিন্ন অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি আরো বলেন, প্রতি দুইমাস পরপর লিফট দুটি সার্ভিসিং করা হয়। তারপরও কেনো এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে তা খুঁজে বের করা হবে। আমি ইঞ্জিনিয়ারিং শাখার সঙ্গে কথা বলবো এবং এ বিষয়ে কার্যকরি পদক্ষেপ নেয়া হবে।


সর্বশেষ সংবাদ