খাদ্য বিজ্ঞানে দেশসেরা চতুর্থ অবস্থানে হাবিপ্রবি

হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ছবি

আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে ফুড সায়েন্স বিষয়ে গবেষণা সূচকে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে চতুর্থ স্থান অর্জন করেছে দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি)। স্পেনের সিমাগো ইনস্টিটিউশন র‍্যাঙ্কিং-২০২২ এর প্রকাশিত ফলাফলে সোমবার এ তথ্য জানা গেছে।

সিমাগো ইনস্টিটিউশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানটি গত বছরে বিভিন্ন বিষয়ে ১৯টি সূচকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৪ হাজার ১২৬টি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে জরিপ করেছে। জরিপে খাদ্য বিজ্ঞান বিষয়ক গবেষণা সূচকে বাংলাদেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে হাবিপ্রবির অবস্থান শীর্ষ চারে।

এছাড়া সামগ্রিক সূচকে বিশ্বের মধ্যে এই বিশ্ববিদ্যালয়টির অবস্থান ৭৪৯তম, গবেষণায় ৪৪১, উদ্ভাবনে ৪৪৩ এবং সোসাইটাল র‍্যাংকিংয়ে ২৪৯তম।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. বিধান চন্দ্র হালদার বলেন, এটি সত্যিই আনন্দের খবর। বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশ কিছু গবেষণাকর্ম চলমান আছে। আমরা গবেষণায় আরও জোর দিচ্ছি। কোয়ান্টিটির থেকে কোয়ালিটিকে প্রাধান্য দিচ্ছি বেশি, যার ফলে গতবছর আমরা আমাদের সক্ষমতার সাথে মিল রেখে কিছু আসন কমিয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি নিয়েছি। কিছু ফ্যাকাল্টিতে এটি আরও কমানো উচিত।

আরও পড়ুন: ঢাবিসহ সরকারি ৩ বিশ্ববিদ্যালয়কে পেছনে ফেলে দেশসেরা সাউথইস্ট

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন, পাঠদান সবকিছুর জন্য ক্যাম্পাসে স্থিতিশীল ও শান্ত পরিবেশ প্রয়োজন। আমি বলবো শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার পাশাপাশি কো-কারিকুলার কর্মকান্ডে নিজেকে নিয়োজিত রাখবে। কোয়ালিটিফুল এবং স্মার্ট গ্রাজুয়েট হতে হবে নিজেদের।

দেশে অ্যাক্রিডিটেসন কাউন্সিল হয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আমাদের ডিগ্রিগুলো, অনুষদ, পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় সঠিক অ্যাক্রিডিটেসনের মাধ্যমে আরও এগিয়ে যাবে। আগামীতে বিশ্ববিদ্যালয়কে র‍্যাঙ্কিংয়ে প্রথম অবস্থানে দেখবো এমনটা প্রত্যাশা করি।

স্পেনভিত্তিক সিমাগো ইনস্টিটিউশনস র‍্যাঙ্কিং হলো আন্তর্জাতিক র‍্যাঙ্কিং প্রতিষ্ঠান যেখান থেকে সিমাগো ল্যাব ও বিশ্বের বৃহত্তম বৈজ্ঞানিক প্রকাশক, এলসেভিয়ারের মালিকানাধীন স্কপাস বিজ্ঞান গবেষণায় অবদানের জন্য প্রতি বছর শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের র‍্যাঙ্কিং প্রকাশ করা হয়ে থাকে। স্কপাস ডাটাবেইজে কমপক্ষে ১০০টি গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে এমন সব প্রতিষ্ঠানকেই এই র‍্যাঙ্কিং বিবেচনায় নেয়া হয়েছে।