রুয়েটে স্বজনপ্রীতি, নিয়োগ পেলেন উপাচার্যের ভাই-শ্যালক ও গৃহকর্মী

রফিকুল ইসলাম সেখ ও রুয়েট লোগো
রফিকুল ইসলাম সেখ ও রুয়েট লোগো  © ফাইল ফটো

ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) উপাচার্যের বিরুদ্ধে তার শ্যালক, ভাই, গৃহকর্মী ও তার স্বামী এবং স্ত্রীর ফুফাতো ভাইকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী পদে নিয়োগ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে, রুয়েটের ৯২তম সিন্ডিকেট সভায় উপাচার্য রফিকুল ইসলাম সেখের এসব নিয়োগ অনুমোদন দেওয়া হয়। তবে ওই সভার কোনো রেজল্যুশন করা হয়নি। রুয়েট উপাচার্য বলছেন, এসব পদে নিয়োগ সংক্রান্ত বোর্ডে তিনি ছিলেন না। যারা চাকরি পেয়েছে তারা সকলেই তাদের যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি পেয়েছে।

রুয়েট সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপাচার্য তার আপন দুই ভাই মো. মুকুল হোসেনকে ‘সেকশন অফিসার’ ও লেবারুল ইসলামকে জুনিয়র সেকশন অফিসার পদে নিয়োগ দিয়েছেন। গৃহকর্মী লাভলী আরাকে ‘অ্যাসিস্ট্যান্ট কুক’ তার স্বামী এনামুল হককে ‘উপাচার্যের গাড়িচালক’, ফুফাতো ভাই মেহেদী হাসানকে ‘কেয়ারটেকার’, চাচাতো বোন মাছুমা খাতুনকে ‘ডেটা এন্ট্রি অপারেটর’ এবং শ্যালক সোহেল আহমেদকে ‘পিএ টু ডিরেক্টর’ পদে নিয়োগ দিয়েছেন।

আরও পড়ুন: ছয় বছরেও বিচার হলো না তনু হত্যার, আক্ষেপ বাবা-মার

এসব অভিযোগের বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক অধ্যাপ উপাচার্য রফিকুল ইসলাম সেখ গণমাধ্যমকে বলেন, এখানে স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে কাউকে নিয়োগ দেয়া হয়নি। যোগ্যতা থাকায় তারা সবাই নিয়োগ পেয়েছে। প্রতিটি নিয়োগের জন্য আলাদা আলাদা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। এছাড়া নিয়োগ বোর্ডেও তিনি উপস্থিত ছিলেন না।

নিয়োগের রেজল্যুশনের বিষয়ে তিনি আরও বলেন, রেজল্যুশন করা হয়নি। রেজল্যুশনের চেয়ে বড় কথা হলো, সিন্ডিকেটে নিয়োগ অনুমোদন হয়ে গেছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে তিনটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে রুয়েটে বিভিন্ন পদে ১৩৫ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। এতে পদের চেয়ে বেশি জনবল নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। গত বছরের ৪ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯২তম সিন্ডিকেট সভায় ওই নিয়োগ অনুমোদন দেওয়া হয়। কিন্তু এখনো নিয়োগের রেজল্যুশন করা হয়নি। চলতি বছরের জুলাইয়ে উপাচার্যের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা।


সর্বশেষ সংবাদ