বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারদের প্রতি বৈষম্য নিরসনে ৩ দাবি রুয়েট শিক্ষার্থীদের
- রুয়েট প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৫২ PM

বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারদের প্রতি বৈষম্য নিরসন ও তিন দফা বাস্তবায়নের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) শিক্ষার্থীরা। আজ মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
এদিন কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে থেকে বিক্ষোভ শুরু করে তালাইমারি মোড় হয়ে ভদ্রা মোড়ে এসে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘কোটার নামে বৈষম্য, চলবে না চলবে না’, ‘আমার সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, এ মুহুর্তে দরকার, কোটা প্রথার সংস্কারসহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারদের দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে রুয়েট প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন রুয়েট ছাত্রকল্যাণ দপ্তরের পরিচালক ও যন্ত্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. রবিউল ইসলাম সরকার এবং রুয়েটের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন পরিচালক ও পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. এইচ. এম. রাসেল।
এ সময় অধ্যাপক রবিউল ইসলাম সরকার বলেন, ‘আজকের এ আন্দোলন আমাদের অধিকার রক্ষার আন্দোলনে পরিণত হয়েছে। আমরা চাই প্রতিটি ক্ষেত্রে মেধার মূল্যায়ন হোক। সেজন্য উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়োগ দিতে হবে সরাসরি নিয়োগ পরীক্ষার মাধ্যমে। ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারীদের জন্য ৩৩ শতাংশ কোটা রাখা হয়েছে, তা অবশ্যই বাতিল করতে হবে। এখান থেকে পিছু হটার আমাদের সুযোগ নাই।’
পাশাপাশি প্রকৌশলী সমাজ, বিশেষ করে আইইবি এর কেন্দ্রীয় কমিটিকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সাথে যোগাযোগ করে কোটা প্রথা রহিত করতে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। এছাড়াও সকল পর্যায়ের বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারদেরকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ জানান।
আন্দোলনরত কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০২২-২৩ সেশনের শিক্ষার্থী রুয়ান জানান, ‘বাংলাদেশে প্রকৌশল খাতে দীর্ঘদিন ধরে কিছু কাঠামোগত বৈষম্য হয়ে আসছে, যা বিএসসি ডিগ্রিধারী প্রকৌশলীদের সাংবিধানিক অধিকার, মেধা ও পেশাগত সম্মানের পরিপন্থী। এসব বৈষম্য দেশের প্রকৌশল ব্যবস্থাপনায় দক্ষতার ঘাটতি ও ন্যায্যতার সংকট সৃষ্টি করছে।’
এসময় শিক্ষার্থীদের পক্ষ হতে পুরকৌশল বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী হাফিজুর রহমান বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারদের ৩ দফা দাবি উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, ‘ইঞ্জিনিয়ারিং ৯ম গ্রেডে সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদে প্রবেশের জন্য সবাইকে পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে এবং বিএসসি ডিগ্রিধারী হতে হবে। কোটার মাধ্যমে কোনো পদোন্নতি নয়, এমনকি অন্য নামেও সমমান পদ তৈরি করেও পদোন্নতি দেয়া যাবে না’, ‘টেকনিক্যাল ১০ম গ্রেডে উপ-সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদ সবার জন্য উন্মুক্ত করতে হবে অর্থাৎ ডিপ্লোমা ও বিএসসি উভয় ডিগ্রিধারীকে পরীক্ষার সুযোগ দিতে হবে’, ‘ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিএসসি ডিগ্রি ছাড়া কেউ ইঞ্জিনিয়ার পদবি ব্যবহার করতে পারবেনা, এই মর্মে আইন পাশ করে গেজেট প্রকাশ করতে হবে।’