পানি সম্পদ কৌশল বিভাগ
বিভাগের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে চুয়েটে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন
- চুয়েট প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১০ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:১৬ PM

বিভাগের নাম এবং ডিগ্রি পরিবর্তন করার প্রতিবাদে ক্লাস-পরীক্ষাসহ সকল একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন করেছে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) বিভাগটির শিক্ষার্থীরা। তাদের অভিযোগ, চাকরির ক্ষেত্র ও একাডেমিক সুযোগ সুবিধায় বিভিন্ন বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন তারা। আজ বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সকাল থেকে ক্লাস-পরীক্ষাসহ সকল একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন করেছে বিভাগটির শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা জানান, চাকরির ক্ষেত্র ও একাডেমিক সুযোগ সুবিধায় বিভিন্ন বৈষম্যের অভিযোগে গত বছরের সেপ্টেম্বর মাস থেকে আন্দোলন করে আসছে উক্ত বিভাগের শিক্ষার্থীরা। কিন্তু কোনো সন্তোষজনক সমাধান না পাওয়ায় এবার ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
জানা গেছে, চলতি বছর এ বিভাগটি চুয়েটের পুরকৌশল অনুষদের অধীনে পুর ও পানিসম্পদ কৌশল নামে যাত্রা শুরু করে। তবে ৩ বছর পর ২০১৮ সালে বিভাগের নাম এবং ডিগ্রি পরিবর্তন করে পানি সম্পদ কৌশল নাম দেওয়া হয়। ফলে এ বিভাগের শিক্ষার্থীরা প্রকৌশল ক্ষেত্রে বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি চাকরিতে আবেদনের সুযোগ পাচ্ছে না বলে অভিযোগ ওঠে। তাই এ সমস্যা উত্তরণের লক্ষ্যে শিক্ষার্থীরা এক দফা দাবি উত্থাপন করেন।
তাদের দাবি ‘দ্রুত বিভাগের নাম পূর্বের ন্যায় পুনঃসংস্কার করে পুর ও পানি সম্পদ কৌশল (CWRE) কৌশল করতে হবে এবং পুর ও পানি সম্পদ কৌশল (CWRE) হিসেবে ‘১৯ ব্যাচ থেকে ডিগ্রি প্রদান করতে হবে।’
পানি সম্পদ কৌশল বিভাগের ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী আহনাফ তাহমিদ দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘দ্বিতীয় দিনের মতো আমাদের কর্মসূচি চলছে। শিক্ষার্থীদের ভালোর জন্যই বিভাগের নাম এবং ডিগ্রি পরিবর্তন করা হয়েছিল, তাহলে নাম পরিবর্তন করে আমাদের কী সুবিধা হলো? আমরা চাকরির ক্ষেত্র ও একাডেমিক সুযোগ সুবিধায় বিভিন্ন বৈষম্যের শিকার হচ্ছি। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা ক্লাসে ফিরে যাব না। অনির্দিষ্টকালের জন্য আমাদের বিভাগের সকল ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকবে।’
এ বিষয়ে চুয়েটের পুর ও পরিবেশ কৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সুদীপ কুমার পাল বলেন, বিষয়টি একাডেমিক কাউন্সিল সভার কাছে গিয়েছে। অনুষদের কাছে নেই। একাডেমিক কাউন্সিল তো অনুষদের উর্ধ্বে। এই সভায় আলোচনা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠন করার কথা বলা হয়েছে। তদন্ত কমিটির তথ্য উপাত্ত বিবেচনা করে রিপোর্ট সভায় জমা দিলে একাডেমিক কাউন্সিল বিবেচনা করবে।