ডিপ্লোমাধারীদের কোটা সুবিধার দাবির বিরুদ্ধে চুয়েট শিক্ষার্থীদের বিবৃতি
- চুয়েট প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৫, ০৭:১৯ PM , আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২৫, ০৭:১৯ PM

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) সাধারণ শিক্ষার্থীরা ডিপ্লোমাধারীদের জন্য নির্দিষ্ট কোটা ও বিশেষ সুবিধার দাবির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। ২২ মার্চ (শনিবার) চুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, প্রকৌশল শিক্ষা এবং চাকরির ক্ষেত্রে মেধাকেই সর্বোচ্চ প্রাধান্য দেওয়া উচিত। যেখানে কোনো বাড়তি কোটা বা বিশেষ সুবিধার প্রয়োজন নেই।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, প্রকৌশল একটি বাস্তবভিত্তিক ও প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষা। যেখানে পর্যাপ্ত জ্ঞান ও দক্ষতা ছাড়া প্রকৃত প্রকৌশলী হওয়া সম্ভব নয়। ডিপ্লোমাধারীদের জন্য অতিরিক্ত কোটা নির্ধারণ করলে মেধার যথাযথ মূল্যায়ন ব্যাহত হবে এবং প্রকৌশল শিক্ষার মান ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
বিবৃতিতে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীদের উত্থাপিত দাবিসমূহ হলো-
নবম গ্রেডের ‘সহকারী প্রকৌশলী’ পদে শুধুমাত্র বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়োগ দিতে হবে এবং এই পদে ডিপ্লোমাধারীদের জন্য ৩৩% পদোন্নতি কোটা বাতিল করতে হবে, দশম গ্রেডের ‘উপ-সহকারী প্রকৌশলী’ পদে ১০০% ডিপ্লোমা কোটা বাতিল করে এটি বিএসসি ও ডিপ্লোমাধারীদের জন্য উন্মুক্ত রাখতে হবে, যাতে ডিপ্লোমাধারীরা নির্দিষ্ট অভিজ্ঞতা অর্জনের পর টেকনিশিয়ান হিসেবে নিয়োগ পেতে পারেন এবং আইনের মাধ্যমে নিশ্চিত করতে হবে যে, ডিপ্লোমাধারীরা নামের সাথে ‘ইঞ্জিনিয়ার’ শব্দটি ব্যবহার করতে পারবেন না।
এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মো. ফাহিম আরাফাত দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশে বিএসসি ইন ইঞ্জিনিয়ারিং ও ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রিধারীদের মধ্যে একটি বৈষম্য স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে। ডিপ্লোমাধারীদের জন্য বিশেষ কোটা ও সুবিধার ব্যবস্থা করা হলেও বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য ন্যায্য স্বীকৃতি নিশ্চিত করা হচ্ছে না। এতে প্রকৌশল শিক্ষার মান, মেধার সঠিক মূল্যায়ন এবং পেশাদারিত্ব বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। প্রকৃত প্রকৌশলী হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য বিএসসি ডিগ্রিধারীদের অধিকার রক্ষা করা জরুরি। ন্যায্যতার স্বার্থে সরকারের উচিত এই বৈষম্য দূর করে সমান সুযোগ সৃষ্টি করা।’
চুয়েট শিক্ষার্থীরা সরকারকে প্রকৌশল শিক্ষার মান রক্ষায় দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান। তারা সতর্ক করে বলেন, যদি তাদের দাবিগুলো আমলে না নেওয়া হয়, তাহলে তারা কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করতে বাধ্য হবেন।