২৪ এর স্মরণে রাবিপ্রবিতে প্রথম স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপন

স্মৃতিস্তম্ভের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন
স্মৃতিস্তম্ভের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন  © টিডিসি ফটো

১৯৫২, ১৯৭১ ও ২০২৪-এর চেতনাসমৃদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছে রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রাবিপ্রবি)। জুলাই-আগস্ট গণঅভভুথানের স্মরণে প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপনের নজির গড়লো রাবিপ্রবি।

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন-১ পার্শ্ববর্তী এলাকায় সকাল ১০ টায় বাংলাদেশের ধারাবাহিক ইতিহাসের চেতনাকে ধারণ, লালন ও বহন করার প্রত্যয়ে স্মৃতিস্তম্ভের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আতিয়ার রহমান।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপাচার্য  বলেন, ‘রাবিপ্রবি প্রতিষ্ঠার ১০ বছরেও এখানে ঐতিহাসিক কোন স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি হয়নি। আজকে আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের একটি দিন, আমরা রাবিপ্রবি’তে ১৯৫২, ১৯৭১ এবং ২০২৪ এর সমন্বিত চেতনাকে ঘিরে একটি আধুনিক স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপনের কাজ শুরু করছি।” যা হবে এক্ষেত্রে একটি মাইলফলক। এই স্মৃতিস্তম্ভ আমাদের ইতিহাসকে ধারণ করার একটা অনুষঙ্গ হিসেবে কাজ করবে বলে আমি প্রত্যাশা করি। তিনি আরো বলেন, এই স্মৃতিস্তম্ভের মাধ্যমে জুলাই ২৪’-কে ঘিরে বাংলাদেশকে দাঁড় করাবার যে প্রেরণা খুঁজে পেয়েছিলাম  এবং আমাদের যে ছাত্র-জনতা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আন্দোলন করেছিল তাদেরও এমনি একটি প্রত্যাশা ছিল সে-প্রত্যাশা পূরণের জন্য আজকে আমাদের এই উদ্যোগ।’

স্মৃতিস্তম্ভের বর্ণনায় জানা যায়, ইটের দেয়ালের প্রথম অংশটি ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনের সূচনাকে প্রতিনিধিত্ব করে। সাতটি আয়তাকার স্তম্ভ ১৯৭১ সালের সাতজন বীর মুক্তিযোদ্ধার প্রতীক। স্মৃতিস্তম্ভে ১৯৭১ সম্বলিত স্তম্ভ এবং আয়তাকার স্তম্ভটির মধ্যকার দূরত্ব ৫৩ বছরের নিপিড়ন-নির্যাতন ও সংগ্রাম-প্রতিরোধকে প্রতিনিধিত্ব করে। স্মৃতিস্তম্ভের দেয়ালে গহ্বরসমূহ শাসনব্যবস্থার ত্রুটি এবং কয়েক দশক ধরে বাংলাদেশে বিরাজমান স্বৈরাচারী নিপীড়নের ইঙ্গিত দেয়। স্মৃতিস্তম্ভের  স্বচ্ছ আয়তাকার আকৃতিটি ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের বিজয়ের তাৎপর্য ও স্বাধীন বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করে।

অনুষ্ঠান শেষে উপাচার্য স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের সাথে জড়িত সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং দ্রুত কাজ সমাপ্ত করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী  ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


সর্বশেষ সংবাদ