রাজনীতি নিষিদ্ধ ক্যাম্পাসে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ২
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
- পবিপ্রবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:২৫ PM , আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০১:২০ AM

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকলেও বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস-চেয়ারম্যান ও সাবেক স্বরাষ্ট্র ও বাণিজ্যমন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরীর আগমনকে কেন্দ্র করে দলটির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত দুইজন আহত হয়েছেন। আজ রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে পবিপ্রবির মুক্ত বাংলার সামনে এ সংঘর্ষ হয়।
জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদ্যাপন উপলক্ষ্যে প্রশাসনের সঙ্গে প্রস্তুতিমূলক মতবিনিময় সভায় অংশ নিতে আলতাফ হোসেন চৌধুরী ক্যাম্পাসে আসেন। এ উপলক্ষ্যে বিএনপির নেতা জসিম উদ্দিন হাওলাদার, ইব্রাহিম খলিল ও মতিউর রহমান দিপুকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও আনোয়ার হোসেন হাওলাদারের গ্রুপ আমন্ত্রণ না পাওয়ায় দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি ও সংঘর্ষ বাধে।
সংঘর্ষে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইব্রাহিম ও সদস্য মতিউর রহমান দিপু আহত হন। তাদের দুমকি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন না করার কারণেই এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. খলিলুর রহমান বলেন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী (বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান) দুমকি তথা পবিপ্রবির ক্যাম্পাসে এসেছেন, তবে আমরা উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কিছুই জানি না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে বহিরাগতদের সংঘর্ষ প্রশাসনের ব্যর্থতা কিনা—এমন প্রশ্নে প্রক্টর অধ্যাপক আবুল বাশার খান বলেন, কীসের দুর্বলতা! আমার উপরও যদি হামলা হয়, তাহলে প্রশাসনের কী করার আছে? প্রশাসন কি আমাকে সারাদিন পাহারা দিয়ে রাখবে?
সংঘর্ষের ঘটনায় শিক্ষার্থীদের আতঙ্কিত হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এতে আমার দেখার কিছু নেই।
পবিপ্রবির রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. ইকতিয়ার উদ্দিন বলেন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ক্যাম্পাসে আসেননি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠালগ্নে তার অবদান থাকায় এবং তিনি একজন শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর প্রস্তুতি বৈঠকে আমন্ত্রিত হয়েছেন। তবে তার উপস্থিতিতে যদি কোনো অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি হয়ে থাকে, তাহলে সুস্পষ্ট তথ্যপ্রমাণ ও অভিযোগের ভিত্তিতে প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
উল্লেখ্য, গত ১৩ আগস্ট শিক্ষার্থীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. এস এম হেমায়েত জাহান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশের মাধ্যমে পবিপ্রবিতে সকল ধরনের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়।