কাশফুলের শুভ্রতায় অপরূপ হাবিপ্রবি 

  © টিডিসি ফটো

হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) কাশফুলের মনোরম দৃশ্য শিক্ষার্থীদের মন কাড়ছে। প্রতিটি বছর, শরৎকাল এলে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে কাশফুল ফোটে, যা শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি দর্শনার্থীদের জন্যও বিশেষ আকর্ষণ হয়ে ওঠে। 

প্রশাসনিক ভবনের পেছনে ফাঁকা জায়গায় দেখা যায় সারি সারি কাঁশবন। কাশফুলের শুভ্র সৌন্দর্য উপভোগ করতে ক্যাম্পাসে ভিড় জমাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। তারা প্রকৃতির এই সৌন্দর্যকে ক্যামেরাবন্দি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করছেন। কাশফুলের এই প্রাকৃতিক পরিবেশে ক্যাম্পাস যেন এক নতুন প্রাণ ফিরে পেয়েছে।

শিক্ষার্থী সাদিয়া আক্তার বলেন, “প্রতিবছরই কাশফুলের সৌন্দর্য আমাদের ক্যাম্পাসে এক অনন্য পরিবেশ তৈরি করে। ব্যস্ত পড়াশোনার ফাঁকে যখন এই শুভ্র ফুলগুলোর দিকে তাকাই, মনে হয় প্রকৃতির সঙ্গে নতুন করে সংযোগ ঘটছে। বন্ধুদের সঙ্গে এখানে এসে ছবি তোলা, কাশফুলের মধ্যে হাঁটা—সবকিছুতেই আলাদা এক শান্তি আছে। এই সময়টা আমাদের জন্য সত্যিই খুব বিশেষ। প্রকৃতির এই রূপ আমাদের পড়াশোনার চাপকে কিছুটা হলেও ভুলিয়ে রাখে।”

কাশফুলের ঔষধি ও নান্দনিক ঐতিহ্য বাংলাদেশের গ্রামীণ সংস্কৃতির সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত। ঔষধিগুণ হিসেবে কাশফুলের মূল বিভিন্ন আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। এটি বায়ু, পিত্ত ও কফের ব্যালান্স রক্ষায় সহায়তা করে এবং মূত্রনালী ও কিডনির সমস্যার জন্যও কার্যকর। নান্দনিক দিক থেকে, কাশফুল শরৎকালের প্রতীক এবং বাংলা সাহিত্যে ও লোকগানে এ ফুলের বিশেষ স্থান রয়েছে। এছাড়া, এর শুভ্রতা পবিত্রতার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয় এবং বিভিন্ন উৎসব ও ঋতুর পরিবর্তনের আগমনি বার্তা বহন করে।


সর্বশেষ সংবাদ