শিক্ষক নিয়োগে গুণগত মান নিয়ে কখনও আপোষ করিনি: শাবিপ্রবি ভিসি
- শাবিপ্রবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৫:১৮ PM , আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৫:১৮ PM
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) তথ্য অধিকার বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাইট টু ইনফরমেশন এপিএর আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের মিনি অডিটোরিয়ামে এই সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর। সেমিনারে বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, ইনস্টিটিটিউটের পরিচালক এবং দপ্তর প্রধানগণ অংশগ্রহণ করেন। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন উপচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, তথ্য মানুষকে অন্ধকার থেকে আলোতে নিয়ে আসে। ২০০৯ সালে তথ্য অধিকার আইন পাস বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। তথ্য অধিকার বাস্তবায়নের ফলে প্রতিষ্ঠান সুশাসন প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে থাকে। এ বিশ্ববিদ্যালয় গুণগত কাজের জন্য প্রশংসিত। আগামী দিনগুলোতে আরো এগিয়ে যাবে এই প্রত্যাশা করি।
সভাপতির বক্তব্যে উপচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সর্বদা তৎপর। তথ্যের অধিকারের প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল। আমরা ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সকল ক্ষেত্রে জবাবদিহিতা, স্বচ্ছতা নিশ্চিত করেছি।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষক নিয়োগে আমরা গুণগত মানের ক্ষেত্রে কখনও আপোষ করিনি এবং করবোও না। সেশনজট, র্যাগিং রোধ করা হয়েছে। শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তাদের স্বাস্থ্যবীমার আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। এপিএতে তলানী থেকে শীর্ষ ২-এ আমরা উঠে এসেছি। আগামী দিনগুলোতে এ অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে।
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কবির হোসেন, কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর আমিনা পারভীন এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সচিব ড. ফেরদৌস জামান।
সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. ফজলুর রহমান এবং আলোচক হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের তথ্য অধিকারের ফোকাল পয়েন্ট এবং জনসংযোগ ও তথ্য অধিকার বিভাগের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন এপিএর বিশ্ববিদ্যালয় ফোকাল পয়েন্ট এবং উপ রেজিস্ট্রার আ ফ ম মিফতাউল হক।