বশেমুরবিপ্রবির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট এখন শিক্ষার্থীদের বিরক্তির কারণ

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ছবি

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) পুরো ক্যাম্পাস ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের আওতায় আনা হলেও ধীরগতির কারণে কোনো সুফল পাচ্ছে না শিক্ষার্থীরা। বারবার সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও ধীরগতির জন্য এ সেবা শিক্ষার্থীদের কাছে এখন বিরক্তির কারণ। এছাড়া বিভিন্ন বিভাগের কম্পিউটার ল্যাবে সংযোগ থাকলেও ধীরগতির কারণে পর্যাপ্ত ইন্টারনেট সুবিধা না পাওয়ায় বিঘ্নিত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম। 

পর্যাপ্ত সেবা না পেলেও প্রতি সেমিস্টারে কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট সেবা বাবদ গুনতে হচ্ছে ২০০ টাকা, যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, ক্যাম্পাসে ইন্টারনেটের ধীরগতির কারণে জরুরি কাজে অতিরিক্ত সময় ব্যয় হয়। ব্যবহারের সময় বারবার ওয়াইফাই সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। প্রশাসনিক ভবনে কিছুটা পাওয়া গেলেও মেলে না একাডেমিক ভবনে।

এ ছাড়াও শিক্ষক সংকটের কারণে অনেক বিভাগে অতিথি শিক্ষকরা অনলাইনে ক্লাস নেন। কিন্তু ইন্টারনেটের ধীরগতির কারণে স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রমেও ভোগান্তিতে পড়ছেন আবাসিক শিক্ষার্থীরা। 

ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন বায়োসায়েন্স বিভাগের শিক্ষার্থী রেজওয়ান আমিন বলেন, ‘ক্যাম্পাসে ওয়াইফাই সংযোগ থাকলেও তা কোনো কাজে আসছে না। বারবার সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। মাঝে মাঝে সংযোগ পাওয়া গেলেও ইন্টারনেট ব্রাউজ করা যায় না। জরুরি প্রয়োজনে মোবাইল ফোনে ডাটা কিনে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে হয়। প্রতি সেমিস্টারে নির্দিষ্ট ফি দেওয়ার পরেও এমন অবস্থা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়।' 

পর্যাপ্ত সেবা না পেলেও প্রতি সেমিস্টারে কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট সেবা বাবদ গুনতে হচ্ছে ২০০ টাকা, যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

এ বিষয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আবু সালেহ বলেন, ‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় যে সব অবকাঠামোগত সুবিধা থাকা দরকার, তার মধ্যে ইন্টারনেট পরিষেবা অন্যতম। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে এ সুবিধা নিতান্তই অপ্রতুল। একটি ইমেইল চেক করার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়। একাডেমিক প্রয়োজনে তথা রেজাল্ট তৈরি সংক্রান্ত কাজে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারনেট পরিষেবা অত্যন্ত জরুরি।

আরো পড়ুন: এআইয়ে বাড়ছে অপরাধ, নতুন আইনের কার্যকারিতা নিয়ে সংশয়

তিনি বলেন, ইন্টারনেট সংযুক্তির ধীর গতির ফলে এ সব একাডেমিক কাজকর্ম ঠিকভাবে করা যায় না। একটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারনেট সংযুক্তির এ দুরবস্থা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। একাডেমিক ভবনের পরিধি বৃদ্ধি পেলেও ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথ বৃদ্ধি পায়নি। ফলে পূর্বের সংযুক্তি চাহিদা অনুযায়ী সার্ভিস দিতে পারবে না এটাই স্বাভাবিক।

প্রতি সেমিস্টারে ফি নেওয়ার পরও ইন্টারনেটের ধীরগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে আইসিটি সেলের সিনিয়র নেটওয়ার্ক টেকনিশিয়ান রিপন বৈরাগী বলেন, ‘বিডিএম এর সঙ্গে ২০১৫ সালে ৪০০ এমবিপিএসের চুক্তি হয়। কিন্তু ভবন ও শিক্ষার্থী সংখ্যা বৃদ্ধি এ সমস্যার মূল কারণ। আমরা চিঠি দিয়েছি এবং চুক্তিও সম্পন্ন হয়েছে। আগামী বছর থেকে ৭৫০ এমবিপিএস চালু হবে।’


সর্বশেষ সংবাদ