হাবিপ্রবিতে ডি-নথি বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা
- হাবিপ্রবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১০ এপ্রিল ২০২৩, ০৩:২৩ PM , আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০২৩, ০৩:২৩ PM
হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি এস্যুরেন্স সেল (আইকিউএসি) এর আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব শাখায় কর্মরত বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দের জন্য “ডি-নথি বিষয়ক দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ” কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকাল সাড়ে ৯ টায় আইকিউএসি কনফারেন্স রুমে ২০২২-২৩ অর্থবছরের কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে উক্ত কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাবিপ্রবির ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. কামরুজ্জামান, সভাপতিত্ব করেন আইকিউএসি’র পরিচালক প্রফেসর ড. বিকাশ চন্দ্র সরকার, সঞ্চালনা করেন আইকিউএসি’র অতিরিক্ত পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ মইনুর রহমান। কর্মশালায় রিসোর্স পার্সন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাবিপ্রবির আইটি সেল এর সিনিয়র প্রোগ্রামার মোঃ ওয়ালিদ ইসলাম ও কম্পিউটার প্রোগ্রামার মোঃ আতিকুর রহমান।
অনুষ্ঠানে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. কামরুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশে ইলেকট্রনিক ব্যবস্থাপনার প্রথম ধাপ ছিল ই-নথি। পরবর্তীতে ই-নথির সীমাবদ্ধতা দূর করে ডিজিটাল নথি বা ডি-নথির কার্যক্রম শুরু হয়। ডি-নথির এ প্রক্রিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ফাইলের কাজ ডিজিটাল পদ্ধতি অনুসরণ করে সম্পাদিত হবে।
এসময় তিনি আরো বলেন, ৫২ টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে প্রথম ধাপে ৮টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্য শেখ হাসিনা যে সুদূরপ্রসারী লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তর করতে যাচ্ছেন, সেই স্মার্ট বাংলাদেশ রূপান্তর করার প্রক্রিয়ায় যে পেপারলেস ক্যাম্পাস তথা অফিস তাতে নিজেদেরকে সম্পৃক্ত করা এবং নিজেদেরকে সম্পৃক্ত করতে পারার প্রথম ধাপে এটা অবশ্যই আমি মনে করি আমাদের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা বড় অর্জন।
ডি নথি সময় সাশ্রয় করবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভাইস-চ্যান্সেলরসহ সব পর্যায়ের অনুমোদনকারীরা যে কোনো স্থানে, যে কেনো সময় বসে পেপারলেসভাবে ফাইল অনুমোদন দিতে পারবেন। এতে সময় ও কাগজের সাশ্রয় হবে এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার জায়গাটিও নিশ্চিত হবে। পাশাপাশি প্রশাসনিক ও একাডেমিক ক্ষেত্রে কাজের গতিশীলতা বৃদ্ধি পাবে। সবার সহযোগিতার মাধ্যমে ডি-নথি কার্যক্রম সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে শুরু করতে পারব এবং আমরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়টিকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবো।