ভিসির পরিদর্শনের পর যবিপ্রবির মসিয়ূর হলের ৫২৮ নম্বর কক্ষ সিলগালা

ভিসির পরিদর্শনের পর যবিপ্রবির মসিয়ূর হলের ৫২৮ নম্বর কক্ষ সিলগালা
ভিসির পরিদর্শনের পর যবিপ্রবির মসিয়ূর হলের ৫২৮ নম্বর কক্ষ সিলগালা  © টিডিসি ফটো

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ইসমাইল হোসেন নামে এক শিক্ষার্থীকে শহীদ মসিয়ূর রহমান হলের ৫২৮ নম্বর কক্ষে আটকে রেখে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। মারধরের ঘটনার পর ওই কক্ষ পরিদর্শন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন। পরে তার নির্দেশে কক্ষটি সিলগালা করে দেওয়া হয়।

মারধরের ঘটনার পর রবিবার (২ মার্চ) রাত ১১.৪০ মিনিটে হল পরিদর্শন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন। পরে কক্ষ পরিদর্শন শেষে হল প্রভোস্ট আশরাফুজ্জামান জাহিদ ওই কক্ষটি সিলগালার করতে তিনি (উপাচার্য) নির্দেশ দেন।

এর আগে এদিন দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মসিয়ূর রহমান হলের ৫২৮ নং কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। পরে মারধরের শিকার ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে যশোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: যবিপ্রবির হলে রড-পাইপ-বেল্ট দিয়ে ৪ ঘণ্টা ধরে শিক্ষার্থীকে মারধর

এ ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন একই বর্ষের কম্পিউটার সাইন্স এবং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী। তাদের একজনের নাম শোয়েব অপর জন সালমান। এসময় তাদের সঙ্গে আরও একাধিকজন এ মারধরে অংশ নেন।

অভিযুক্তরা ইসমাইলকে শহীদ মসিয়ূর রহমান হলের ৫২৮ নম্বর কক্ষে আটকে প্রায় ৪ ঘণ্টা ধরে রড, জিআই পাইপ ও বেল্ট দিয়ে মারধর করে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। 

হল পরিদর্শন শেষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, এ ঘটনা জানার সাথে সাথে প্রভোস্ট বডি সেখানে গিয়ে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করেছেন। আমি প্রভোস্ট বডিকে নির্দেশ দিয়েছি, ওই রুম সিলগালা করে দেওয়ার জন্য। আর অভিযুক্ত শিক্ষার্থী যদি আবাসিক হয়, তাহলে তাকে যেন হল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পরবর্তী পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ