নোবিপ্রবিতে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েন
- নোবিপ্রবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২২ মার্চ ২০২৩, ১০:২৪ PM , আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২৩, ১০:০৫ AM
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) চায়ের দোকানের সামনে বেঞ্চে বসাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ ২০ জনের অধিক আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
আজ বুধবার (২২ মার্চ) দুপুর দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তিনিকেতন এলাকায় এবং সাড়ে তিনটার দিকে টং এলাকায় এ মারামারির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় একজনের মাথা ফেটে গেলে তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আরও পড়ুন: নবম শ্রেণির ছাত্রের ছুরিকাঘাতে দশম শ্রেণির ২ ছাত্র নিহত
প্রত্যক্ষদর্শী ও ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, আজ বেলা দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তিনিকেতন এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থী রুপক পাল একটি চায়ের দোকানের সামনের বেঞ্চের ওপর বসেছিলেন। এসময় ১৩তম ব্যাচের কয়েকজন ছাত্র সেখানে গিয়ে রুপককে আরেকটি বেঞ্চে বসতে বলেন। রুপক তাদের কথা না শোনায় দুই পক্ষের মধ্যে কথা–কাটাকাটি হয়।
নোবিপ্রবিতে বর্তমানে ছাত্রলীগের কার্যকর কোনো কমিটি নেই। তবে রুপক ক্যাম্পাস ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশী নেতা মোহাইমিনুল ইসলাম ওরফে নুহাশের অনুসারী আর ১৩তম ব্যাচের ওই শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস ছাত্রলীগের আরেক নেতা নজরুল ইসলাম ওরফে নাঈমের অনুসারী বলে জানা যায়।
আরও পড়ুন: ‘আজ গেস্ট রুম থেকে ওর লাশ বের হবে’- কর্মীকে মারধরের পর ছাত্রলীগ নেতা
জানা যায়, এ ঘটনার কিছুক্ষণ পর টঙের দোকানের পাশে একটি ব্যাংকের এটিএম বুথের সামনে রুপককে ডেকে জেরা করেন ছাত্রলীগ নেতা নাঈমের অনুসারীরা। তখন রুপকের পক্ষ নিয়ে এগিয়ে আসেন মোহাইমিনুলের কয়েকজন কর্মী। এ নিয়ে সেখানে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও মারামারি হলে কয়েকজন আহত হন। ঘটনার পরপরই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয় পক্ষকে শান্ত করেন।
তবে, এ ঘটনার জেরে রাতে আবার বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুস সালাম হলে ভাঙচুর করা হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে ব্যর্থ হওয়ায় ক্যাম্পাসে বর্তমানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এদিকে ঘটনা সমাধান করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ইকবাল হোসেন ছাত্রলীগের দুই পক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসেছেন।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা মোহাইমিনুল ইসলাম বলেন, সিনিয়র-জুনিয়র নিয়ে দ্বন্দ্বে দুই পক্ষের মধ্যে হালকা ঝামেলা হয়েছে। এর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের কোনো সম্পর্ক নেই। তবে, ছাত্রলীগ নেতা নজরুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।