বিশ্ববিদ্যালয় কখনও ঘুমাতে পারে না: যবিপ্রবি উপাচার্য

ন্যানো-বায়ো এন্ড এডভান্সড ম্যাটেরিয়ালস ইঞ্জিনিয়ারিং (এনএএমই)’ ল্যাবের উদ্বোধন
ন্যানো-বায়ো এন্ড এডভান্সড ম্যাটেরিয়ালস ইঞ্জিনিয়ারিং (এনএএমই)’ ল্যাবের উদ্বোধন   © টিডিসি ফটো

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি)  ’ন্যানো-বায়ো এন্ড এডভান্সড ম্যাটেরিয়ালস ইঞ্জিনিয়ারিং (এনএএমই)’ ল্যাবের উদ্বোধন করা হয়েছে। 

মঙ্গলবার(২১শে মার্চ) সকাল ১০ ঘটিকায় যবিপ্রবির স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের  তৃতীয় তলায় কেমিকৌশল বিভাগে সংস্কৃত এ ল্যাবের উদ্বোধন করেন যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন।

এ সময় তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ হলো গবেষণাগার। আর এ গবেষণাগারের মূল চালক তোমরা শিক্ষার্থীরা। তোমরাই পারবে এ বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্বমানের করতে। তোমাদের দ্বারাই ভালো মানের গবেষণা হবে যা এ বিশ্ববিদ্যালয় এবং দেশের জন্য সবচেয়ে বড় পাওয়া।

তিনি আরো বলেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয় কোন সময় ঘুমাতে পারে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোন শিক্ষার্থীর যে কোন সময় গবেষণার কাজ থাকতে পারে। এখন একজনের গবেষণার কাজ আছে তো অন্য সময় অন্য জনের।  বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাব ঘুমিয়ে থাকলে সেই দেশের উন্নতি হয় না।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, এনএএমই" ল্যাবের পরিচালক  ড. মো. জাভেদ হোসেন খান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন, র প্রক্টর ড. হাসান আল-ইমরান,  কেমিকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. বিপ্লব কুমার বিশ্বাসসহ বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান,  শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

উল্লেখ্য,  ড.জাভেদ হোসেন খানের হাত ধরে ২০১৩ সালে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে "ন্যানো-বায়ো এন্ড এডভান্সড  ম্যাটেরিয়ালস-এনএএমই " ল্যাব এর সূচনা হয় । "এনএএমই" ল্যাব মূলত ন্যানো বায়ো সায়েন্স,  ন্যানো-টেকনোলজি এবং এডভান্স ম্যাটেরিয়াল ইন্জিনিয়ারিং নিয়ে কাজ করে থাকে। এ পর্যন্ত এ ল্যাব থেকে প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী  বিএসসি, এমএসসি,এমফিল ডিগ্রি নিয়েছেন। পরবর্তীতে তারা দেশ বিদেশের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেছেন এবং অনেকে অধ্যয়নরত আছেন। অনেকে দেশসেরা কোম্পানিতে চাকরি করছেন।  এছাড়া এ ল্যাব থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ১৫০ এর অধিক গবেষণা প্রবন্ধ ও  কনফারেন্স পেপার বিশ্বসেরা বিভিন্ন জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।  "এনএএমই" ল্যাব এ পর্যন্ত দেশি বিদেশি প্রায় ২০ টির অধিক প্রোজেক্ট সফলতার সাথে সম্পন্ন করেছে।  বর্তমানে এ ল্যাবে  শিক্ষা মন্ত্রণালয়, আইসিটি মন্ত্রণালয়, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ও যবিপ্রবির বেশ কিছু প্রোজেক্ট চলমান আছে।


সর্বশেষ সংবাদ