র্যাগিংয়ের দায়ে শাবিপ্রবির ৫ শিক্ষার্থীকে তাৎক্ষণিক বহিষ্কার
- শাবিপ্রবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৮:১২ PM , আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৮:৫১ PM
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থীদের র্যাগিংয়ের অভিযোগে ওই বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের অভিযুক্ত পাঁচ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কামরুজ্জামান চৌধুরী দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রক্টর বলেন, র্যাগিংয়ের একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এটা নিয়ে কাজ করছে। প্রাথমিক তদন্তে মনে হয়েছে, এদের কয়েকজন এ ঘটনার সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত। তাদেরকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, একইসঙ্গে ৭ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিলে পরবর্তী সিন্ডিকেটে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এর আগে গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল সৈয়দ মুজতবা আলী হলে ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের একই বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের কয়েকজন শিক্ষার্থী র্যাগ দেয়।
আরও পড়ুন: ইবির ফুলপরীর কাছে ক্ষমা চেয়েছেন ছাত্রলীগের অভিযুক্তরা
এ সময় র্যাগিংয়ের শিকার হওয়া এক শিক্ষার্থী আজ বুধবার অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রক্টর বরাবর অভিযোগ দেন। এ অভিযোগে বিষয়ে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. কামরুজ্জামান চৌধুরী।
পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. খায়রুল ইসলাম।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মাজহারুল হাসান মজুমদার, সৈয়দ মুজতবা আলী হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আবু সায়েদ আরফিন খান নোবেল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট সহকারী অধ্যাপক মনিরুজ্জামান খান ও সহকারী প্রক্টর মিজানুর রহমান।
ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক মাজহারুল হাসান মজুমদার বলেন, বিভাগের ৯ জন শিক্ষার্থীকে র্যাগিং করা হয়েছে। এদের মধ্যে একজন অভিযোগ করেছেন। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে তারা সবাই আমার ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থী। তারা শাহপরাণ হল বঙ্গবন্ধু হল মুজতবা আলী এবং বিভিন্ন মেসের শিক্ষার্থী। ১৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে।